আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় অপহরণের সাতদিন পর স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার পুলেরঘাট-গচিহাটা সড়ক থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তবে ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, নবম শ্রেণিতে পড়–য়া ওই ছাত্রীটি স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো পাশের গ্রামের টুটুল মিয়া নামের এক যুবক। এবিষয়ে ওই ছাত্রীর মা টুটুলের পরিবারের কাছে বিচার দেন। এতে ক্ষিপ্ত হন টুটুল। গত ১৮এপ্রিল মঙলবার সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয় থেকে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি যাচ্ছিল ছাত্রীটি। বাড়ির সামনের পাকা রাস্তায় পৌঁছলে টুটুল তার ৫-৬জন সঙ্গী নিয়ে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। বাড়ি না ফেরায় মেয়েকে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে জানতে পারে তাকে টুটুলসহ কয়েকজন জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে গেছে। গতকাল মঙলবার দিবাগত রাতে ওই ছাত্রীটির মা বাদী হয়ে কোদালিয়া গ্রামের শামছুদ্দিনের ছেলে টুটুল ও সোহাগের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩জনকে অভিযুক্ত করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার পুলেরঘাট-গচিহাটা সড়ক থেকে ওই ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.সারোয়ার জাহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপহৃতা স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।