আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার নবম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীকে (১৪) অপহরণের পাঁচদিন পর একই উপজেলার পাশের গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী রতন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার দুপুরে উপজেলার জয়বিষ্ণুপুর গ্রাম থেকে অপহৃতাকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফকার করা হয়। এ কয়দিন তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। অপহরণকারী রতনকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অপহরণকারী রতন মিয়ার বাড়ি জামালপুরের বক্সিগঞ্জ উপজেলার দত্তেরচর দক্ষিনপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম দেলোয়ার। তিনি পাকুন্দিয়া উপজেলা চন্ডিপাশা গ্রামের শ্বশুড়বাড়িতে ঘর জামাই থাকেন। তার শ্বশুড়ের নাম মুসলিম উদ্দিন। তিনি চার সন্তানের জনক। তিনি একাধিক বিয়ে করেছেন বলেও জানা গেছে।
মামলা ও ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ মার্চ সকাল ৯টার দিকে মাদরাসায় যাওয়ার পথে রতন তাকে মুখে রুমাল দিয়ে চেপে ধরে জোর করে একটি অটোরিকসায় তুলে ময়মনসিংহের ভালুকায় নিয়ে যান। সেখানে তার এক আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে রাখা হয়। সেখানে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে পরিবারের দাবী। এরপর গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলায় ছাত্রীটির নানার বাড়ির সামনে রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে জনতা। খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থানার এসআই সেখ মো. নাসির উদ্দিন একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই দিনই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে রতনকে আসামী করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই ছাত্রীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, রতন আমার মেয়েটিকে মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছে। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে এলাকায় একাধিক সালিশ দরবার হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রতন আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সেখ মোঃ নাছির উদ্দিন জানান, ছাত্রীর বাবার দায়ের করা মামলায় অপহরণকারীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপহণকারীকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।