আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় অপহৃত মাদ্রাসা ও স্কুল পড়–য়া দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙলবার ভোর রাতে উপজেলার পৃথক দুটি স্থান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ। এসময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই যুবককে আটক করা হয়। আজ মঙলবার দুপুরে ওই দুই যুবককে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন-উপজেলার ছয়চির গ্রামের মেরাজ উদ্দিনের ছেলে সাব্বির হোসেন (২৪) ও চকদিগা গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে রনি মিয়া (২৬)।
পুলিশ জানায়, গত ৩১মে ও ২জুন উপজেলার পৃথক দুটি এলাকা থেকে একজন মাদ্রাসা ও একজন স্কুল পড়–য়া শিক্ষার্থী অপহরণ হওয়ার ঘটনায় তাদের বাবা বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার কোদালিয়া চৌরাস্তা এলাকা থেকে মাদ্রাসা ছাত্রী ও চকদিগা গ্রাম থেকে স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এসময় ঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্ত দুই যুবককে আটক করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১মে সোমবার সকালে হোসেন্দী পূর্বপাড়া গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী (১৭) প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। এসময় পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনের সড়ক থেকে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে রনি মিয়াসহ তার ২-৩ সহযোগী। এ ঘটনায় রনিকে অভিযুক্ত করে অজ্ঞাত আরও ২-৩জনকে আসামি করে সোমবার (৭জুন) রাতে পাকুন্দিয়া থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা। অপরদিকে গত ২জুন বুধবার ভোরে উপজেলার হরশী গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে থেকে মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া (১৪) এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যায় সাব্বির হোসেনসহ তার ১-২জন সহযোগী। এঘটনায় ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সাব্বিরকে অভিযুক্ত করে অজ্ঞাত আরও ১-২জনকে আসামি করে সোমবার (৭জুন) বিকেলে পাকুন্দিয়া থানায় মামলা করেন।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সারোয়ার জাহান বলেন, পৃথক দুটি অপহরণ মামলায় দুই ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই যুবককে আটক করে মঙলবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য দুই ভিকটিমকে পুলিশ হেফাজতে জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।