মিজানুর রহমানঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ইমরানুল হক (৩২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ( ১৬ ই জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে সর্বস্থরের জনগণের ব্যানারে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন গুরুতর আহত ইমরানুল হকের চাচাতো ভাই গোলাম মোস্তফা, আহসান হাবীব, ছাত্রলীগ নেতা আরিফুল হক প্রমুখ। বক্তারা বলেন, উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের কন্দরপদি (ভূইয়াবাড়ি) গ্রামের নিজ বাড়িতে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা থেকে বেড়াতে আসেন ইমরানুল হক ও তাঁর পরিবার। ঈদের পরের দিন ১১ জুলাই( সোমবার) বিকেলে স্ত্রী ও বোনকে নিয়ে নবাগিয়া বিলের পাশে নয়াপাড়া-কন্দরপদি নতুন রাস্তায় ঘুরতে গিয়ে বখাটে ও কিশোর গ্যাং কতৃক ইভটিজিংয়ের শিকার হন ইমরানুল হকের স্ত্রী ও বোন।
এসময় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার হয়েছেন প্রতিবাদকারী ইমরানুল হক ও তার চাচাত ভাই মহসিন ভূইয়া মিন্টু। আমরা এ বর্বর হামলা ও কুপিয়ে জখম এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এবং আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ সারোয়ার জাহান বলেন, হামলা ও মারপিটের ঘটনায় জড়িত কন্দরপদি গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে সুবল (২০) নামের একজনকে শুক্রবার রাতে আটক করা হয়েছে। বাঁকিদের কে খুব দ্রুত আটক করা হবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য যে, গত সোমবার (১১ জুলাই) ঈদুল আজহার পরদিন বিকেলে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের নওবাগিয়া বিলের পাশে নয়াপাড়া-কন্দরপদী নতুন রাস্তায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ইমরানুল হক (৩২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটে। এসময় তার চাচাত ভাই মহসিন ভূইয়া মিন্টু গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় ওই যুবকের পিতা আজহারুল হক ভূঞা বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই সাত জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।