আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ঘোড় দৌড় খেলা। প্রাচীন খেলাধূলার মধ্যে অন্যতম পুরনো এই খেলাটি কালের আবর্তে হারিয়ে যেতে বসেছে। নতুন বছরের শুরুতেই সেই হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে উদ্যোগী হয়েছেন একদল যুবক। তাদের আয়োজনে হয়ে গেল ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা।
শুক্রবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার নারান্দী ইউনিয়নের নরপুর গ্রামে এ ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় পাশর্^বর্তী কটিয়াদী, মনোহরদী, নরসিংদীসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে ২০টি ঘোড় সোয়ারি খেলায় অংশ নেন। এসময় শিশু, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষসহ নানা শ্রেণি-পেশার কয়েক হাজার মানুষ ঘোড় দৌড় উপভোগ করতে ভিড় জমায়।
ঘোড় দৌড় উপভোগ করতে আসা নারান্দী গ্রামের আমিন মিয়া বলেন, ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা একটি প্রাচীন ঐতিহ্য। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা ভুলেই গিয়েছিল যে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা হয়। আজকে যারা এ ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন তাদের অনেক ধন্যবাদ জানাই। আশা রাখি এ ঐতিহ্য যেন তারা ধরে রাখেন।
আয়োজক কমিটির প্রধান নারান্দী ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিযোগিদের দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। বড় ঘোড়াগুলোকে এক ভাগ ও ছোট ঘোড়াগুলোকে আরেক ভাগ করে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ছোট ঘোড়া পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার বরচাপা গ্রামের সুলমান মিয়া। বড় ঘোড়া পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে একই উপজেলার হাদিস মিয়া। তাদের প্রত্যেককে একটি করে ছাগল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ঘোড় দৌড় খেলাসহ অনেক খেলাই হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আমরা আজ এ খেলার আয়োজন করেছি। আশা করছি প্রতিবছরই আমরা এ খেলার আয়োজন করব।