আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই চাচাতো ভাইয়ের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালের দিকে উপজেলার জাঙালিয়া ইউনিয়নের চরকাওনা মুনিয়ারীকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত এক পরিবারের সদস্যরা হলেন-মৃত ছলিম মাস্টারের ছেলে নাছির উদ্দিন ও জিয়াউর রহমান, শামীম মিয়ার স্ত্রী মনিরা খাতুন, আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী খোদেজা খাতুন ও ইলিয়াছের স্ত্রী লাভলী আক্তার। আহত অপর পরিবারের সদস্যরা হলেন-মৃত করিম মাস্টারের ছেলে আকবর আলী ও মোহন লাল। আহতদের মধ্যে নাছির উদ্দিন, জিয়াউর রহমান, আকবর আলী ও মোহন লালকে কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল নাছির উদ্দিন ও তার চাচাতো ভাই সিরাজ উদ্দিনের মধ্যে। নাছির উদ্দিনের কিছু জমি সিরাজ উদ্দিন জোরপূর্বক ভোগ-দখলের চেষ্টা চালায়। এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হয়। মাস খানেক আগে এলাকায় সালিস করে সিরাজ উদ্দিনকে বলে দেওয়া হয়েছিল ওই জমিতে না যেতে। কিন্তু সিরাজ উদ্দিন দরবারের সিদ্ধান্ত অমান্য করে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে দখলে নিতে ওই জমিতে যায়। এনিয়ে নাছির উদ্দিন ও সিরাজ উদ্দিনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পরিবারের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে নাছির উদ্দিনসহ তার পরিবারের পাঁচজন এবং সিরাজ উদ্দিনের পরিবারের দুজন সদস্য আহত হয়েছেন।
প্রতিবেশী হৃদয় ও সৈয়দ মিয়া বলেন, জমিটি মূলত নাছির উদ্দিনদের। তারা এই জমিতে ধান রোপন করেছিল। সিরাজ উদ্দিন আজ সকালে তার লোকজন নিয়ে অবৈধভাবে ওই জমিতে ধান কাটতে যান। এসময় নাছির উদ্দিন বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। এসময় উভয়পক্ষ রামদা, লাঠি ও রড নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হন।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সারোয়ার জাহান বলেন, এবিষয়ে খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। তারা তদন্ত করে এসেছে। তবে এ ঘটনায় বিকেল ৪টা পর্যন্ত থানায় কোনো পক্ষই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।