পাকুন্দিয়ায় জামিনে এসে বাদির বাড়িতে হামলা-ভাংচুর-লুটপাট

0

আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জামিনে এসেই প্রতারণা মামলার বাদির বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে আসামী আছমা আক্তারসহ তার সন্তানদের বিরুদ্ধে। এ সময় ব্যাপক ভাংচুর-লুটপাট ও মারধরের ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার এগারসিন্দুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত একজনকে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মামলার বাদি রোকিয়া খাতুন জানান, আসামী আছমা আক্তার তার মামী শ্বাশুড়ি হয়। তার স্বামী ২০০২ সালে সৌদি আরবে যান। সেখান থেকে ২০১০, ২০১৩ ও ২০১৬ সালে পর্যায়ক্রমে ১১ লাখ টাকা পাঠান তার মামী আছমা আক্তারের অগ্রণী ব্যাংক মঠখোলা শাখার একাউন্টে। গত তিনমাস আগে তিনি ছুটিতে বাড়ি আসেন। বাড়ি এসে তিনি তার মামীর কাছে ওই টাকা ফেরত চান। টাকা দিতে তিনি অস্বীকার করেন। এ নিয়ে এলাকায় একাধিক শালিস দরবার হয়। কিন্তু কোন সমাধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় রোকিয়া খাতুন বাদি হয়ে আছমা আক্তারের বিরুদ্ধে গত ৮ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রতারণার একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় হাজিরা না দেওয়ায় আদালত আছমা আক্তারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন। পরে চলতি মাসের ১৬ তারিখ আসামী আছমা আক্তারকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) আছমা আক্তার আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়িতে আসে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আজ মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মামলার আসামী আছমা আক্তারের নেতৃত্বে তার ছেলে মিজান, কাওসার ও মেয়ে ঝরণা আক্তারসহ ৭/৮জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদী রোকিয়া খাতুনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় বাধা দিতে গেলে রোকিয়া খাতুনের শ্বাশুড়ি মল্লিকা খাতুনকে এলোপাতারী পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা ঘরের ভিতরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাংচুর করে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে। এসময় ওয়ারড্রপের ড্রয়ার ভেঙে নগদ ৮০ হাজা টাকা ও ৪ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় রোকিয়া খাতুন ও শ্বাশুড়ি মল্লিকাকে ঘরের ভিতরে রেখে বাইরে দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। পরে রোকিয়া খাতুন জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোনে জানালে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ ওই এলাকায় গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। আহত মল্লিকা খাতুনকে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত আছমা খাতুনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পাকুন্দিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে ঘরের তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। আহত মল্লিকাকে পাকুন্দিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। লিখিত অভিযাগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share.