আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় নকল ব্র্যান্ডরোলযুক্ত বিভিন্ন নামের বিড়ি অবাধে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বাধাহীনভাবে এসব বিড়ি বিক্রি হওয়ায় সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জানা যায়, পাকুন্দিয়া উপজেলায় একটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়নে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৪০-৫০টি বাজার রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার সব পাড়া-মহল্লায় শতশত টঙ দোকান রয়েছে। এসব বাজার ও টঙ দোকানগুলোতে অবাধে নকল ব্র্যান্ড রোলযুক্ত বিড়ি বিক্রি হচ্ছে। এসব বিড়ির মধ্যে রয়েছে-নতুন বিড়ি, আফিজ বিড়ি, কৃষক বিড়ি, আমিন বিড়ি, মন্টু বিড়ি, স্টার বিড়ি, স্বাধীন বিড়ি, রাজ্জাক বিড়ি, রিপন বিড়ি ও দিলিপ বিড়িসহ নানা ধরণের ব্র্যান্ডের বিড়ি। বিড়ির প্যাকেটের গায়ে নকল ব্র্যান্ড রোল যুক্ত করে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কমদামে বিক্রি করছে। ফলে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে, অপরদিকে সাধারণ ভোক্তারাও প্রতারিত হচ্ছে। এতে বৈধভাবে ব্যবসায় নিয়োজিত বিড়ি কোম্পানিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি শ্রমিকরা কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ছে।
আকিজ বিড়ির পাকুন্দিয়া এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত টেরিটরী অফিসার আবদুর রশিদ সরকার জানান, বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকানগুলোতে নকল ব্র্যান্ড রোল লাগিয়ে বিভিন্ন নামের বিড়ি বিক্রি করছে একটি অসাধু চক্র। এতে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাশাপাশি বৈধ কোম্পানি ও ব্যবসায়িরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নকল ব্র্যান্ডের এসব বিড়ি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চোধুরী বলেন, এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পেয়েছি। শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে।