আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
অতিরিক্ত ডিআইজি পদে সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) কে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৮ আগষ্ট) রাতে থানা চত্ত্বরে এক বর্ণাঢ্য সংবর্ধনার আয়োজন করে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ।
এ সময় উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, সুশীল সমাজসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা দেওয়া হয় বিদায়ী পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদকে।
এর আগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সারোয়ার জাহানের সভাপতিত্বে ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাহিদ হাসান সুমনের সঞ্চালনায় পদোন্নতিপ্রাপ্ত বিদায়ী পুলিশ সুপারের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু, কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন হোসাইন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোজলীন শহীদ চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তার, পাকুন্দিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মো. কফিল উদ্দিন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নূরে আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ জুয়েল, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম আকন্দ, পাকুন্দিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আছাদুজ্জামান খন্দকার, বুরুদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা রুবেল, নারান্দী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি বাবুল আহমেদ।
বক্তারা বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর থেকেই তিনি ১৩টি থানার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই ভালো এবং সুন্দর ভাবে পরিচালনা করেছেন। তাঁর সময় কালে জেলার মানুষ নিরাপদ ও শান্তিতে ছিল। সাধারণ মানুষজনের যে কোন অভিযোগ তাঁর কাছে জানালে তিনি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছেন। এ অঞ্চলের মানুষ তাঁকে সবসময় মনে রাখবে।
পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার) বলেন, আমি পুলিশ সুপার হিসেবে এ জেলায় সাড়ে ৪ বছর চাকুরী করেছি। যোগদানের পর থেকেই জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে নিরলস ভাবে কাজ করেছি। বিগত সাড়ে ৪ বছরে পেশাগত কাজ করতে গিয়ে কোন ধরনের চাপের মধ্যে পড়তে হয়নি আমাকে। সব সময় মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। এ জেলার স্মৃতি তাঁর সারা জীবন মনে থাকবে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, আমার সাথে এ জেলার মানুষ যে কোন সময় আইনগত সহযোগিতা বা পরামর্শ নিতে ঢাকা রেঞ্চের অফিসে যোগাযোগ করবেন।