নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কৃষিতে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। নতুন ও উন্নত পযুক্তির সাথে পাল্লা দিয়ে কৃষি বিজ্ঞানীরাও উদ্ভাবন করছেন ভিন্ন স্বাদ ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সবজির। যেমন, গতানুগতিক সাদা ফুল কপির পরিবর্তে উদ্ভাবন হয়েছে বাহারি রংয়ের ফুলকপি। দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি পুষ্টিগুণের দিক থেকেও সেরা, সেই সাথে বাজার মূল্যও আকাশ ছোঁয়া। আর এ কারণে নতুন জাতের ফুলকপি চাষে আগ্রহও বাড়ছে কৃষকদের।
সাদা রংয়ের ফুলকপি চাষের পরিবর্তে বাহারি রংয়ের ফুল কপি চাষ করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার ষাইটকাহন গ্রামে। কৃষকদের নতুন এ জাতের ফুল কপি চাষে আগ্রহ করে তুলতে কৃষক সিরাজুল ইসলামের ১৫ শতক জমিতে প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে। ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় চাষ করা ক্যারোটিনা জাতের (হলুদ) কপি’র ফলন হয়েছে আশানুরূপ। সেই সাথে ফুলকপি’র রং, সৌর্ন্দয্য, ওজন ও বাজার মূল্যও আকাশ ছোঁয়া। গতানুগতিক কপির মতো চাষ করা হলেও খরচের দিক থেকে অনেকটাই সাশ্রয়ী। বাজারে এর চাহিদা থাকায় প্রতিটি কপি সাধারণ কপি থেকে দ্বিগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। পরীক্ষামূলক চাষ করা ফুলকপির ফলন ও মূল্য বেশি থাকায় ভবিষ্যতে বানিজ্যিক আকারে চাষ করার ইচ্ছা কৃষকের।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর-ই-আলম বলেন, রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের তুলনায় জৈব সারে এই কপি’র ফলন বেশি। চাষে আগ্রহ বেড়েছে এলাকার অন্য কৃষকদের। প্রচলিত সাদা ও রঙিন ফুল কপি’র ফলন সমান হলেও পুষ্টিগুণের দিক থেকে রঙিন কপি অনেকটাই এগিয়ে। আগামি বছর পুরো উপজেলায় চারা বিতরণের পাশাপাশি গ্রাহকের কাছে নতুন জাতের এই কপি সহজলভ্য হবে।
রঙিন ফুলকপির মধ্যে বিটা কেরোটিন এবং এন্টি অক্সিডেন্ট থাকার কারনে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। মানব শরীরের ক্যান্সার ও হৃদ রোগের ঝুকি কমায় অনেকাংশে। আগামিতে ব্যাপক ভাবে রঙিন এই ফুলকপি চাষে কৃষিতে যোগ হবে নতুন মাত্রা।