পাকুন্দিয়ায় প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে স্বামী-স্ত্রী গুরুতর জখম

0

আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের দা, শাবল ও লাঠির আঘাতে স্বামী-স্ত্রীসহ চারজন গুরুতর আহত হয়েছে। এসময় বাড়িঘর ও আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। আজ মঙলবার ২টার দিকে উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়নের বেজুরদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত মোমতাজ উদ্দিনকে কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ও তাঁর স্ত্রী আফিয়া খাতুনকে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, গত ছয় মাস ধরে ওই গ্রামের মোমতাজ উদ্দিনের সঙ্গে পাশের কাগারচর গ্রামের ফজলুল হকের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এনিয়ে একাধিকবার শালিস দরবার হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এর জেরে আজ মঙলবার বেলা ২টার দিকে ফজলুল হক ও তাঁর ছেলে রফিক ও কবিরের নেতৃত্বে ২০-২৫জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঢুকে পাটগাছ কাটতে শুরু করে। এসময় মোমতাজ উদ্দিন তাঁর স্ত্রী আফিয়া খাতুন ও পুত্রবধূ হাজেরা খাতুন এতে বাধা দেয়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ফজলুল হক ও তাঁর দুই ছেলে রফিক ও কবির মোমতাজ উদ্দিনকে দা, শাবল ও লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এতে মোমতাজ উদ্দিন রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে রক্ষা করতে স্ত্রী আফিয়া খাতুন ও পুত্রবধূ হাজেরা খাতুন এগিয়ে গেলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এসময় হাজেরা খাতুনের কোলে থাকা আড়াই বছরের শিশুকন্যা রাইসা মনিও তাদের আঘাতে আহত হয়। এছাড়াও প্রতিপক্ষের লোকেরা মোমতাজ উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতঘরসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। চলে যাওয়ার সময় নগদ টাকা ও কিছু আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত মোমতাজ উদ্দিনকে কিশোরগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল ও তাঁর স্ত্রী আফিয়া খাতুনকে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। পুত্রবধূ হাজেরা খাতুন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। অভিযুক্তদের কাউকেই তাঁদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাই তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পাকুন্দিয়া থানাধীন আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share.