আছাদ্জ্জুামান খন্দকার ঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মোবাইল ফোন দেখা নিয়ে ঝগড়ায় এক কলেজ ছাত্রকে ধারালো খুড়ের আঘাতে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে ফয়সাল নামের এক বখাটের বিরুদ্ধে। আহত মজিবুর রহমান (২০) উপজেলার আহুতিয়া গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে। তিনি উপজেলার হাজী জাফর আলী কলেজের ২য়বর্ষের মানবিক বিভাগের ছাত্র। তিনি পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার আহুতিয়া গ্রামের আমতলী বাজার এলাকায় নয়ন মিয়ার দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ বুধবার রাত ৯টার দিকে আহত মজিবুরের মা রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩/৪জন কে অভিযুক্ত করে পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার আহুতিয়া গ্রামের মো. সবুজ মিয়ার ছেলে মো. ফয়সাল (২০), একই গ্রামের লাল চাঁন মিয়ার ছেলে গেন্দু (২৮) ও লিটন (২৫)।
এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে আমতলী বাজারের দক্ষিণ পাশে একটি কলা বাগানের কাছে মোবাইল ফোন দেখা নিয়ে ফয়সালের সঙ্গে মজিবুরের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে ফয়সাল চলে যাওয়ার সময় মজিবুরকে দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মজিবুর রহমান বাড়ি থেকে আমতলী বাজারের নয়ন মিয়ার দোকানের সামনে গেলে পূর্ব শত্রুতার জেরে ফয়সাল, গেন্দু ও লিটনসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী তার পথরোধ করে। তখন গেন্দু মিয়ার হুকুমে ফয়সাল একটি ধারালো খুড় দিয়ে মজিবুরের পিঠে কয়েকটি আঘাত করে। অন্যরা এলোপাথারী পিটিয়ে তাকে গুরুতর জখম করে। এ সময় ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে মজিবুরকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
আহত মজিবুরের মা রাবেয়া খাতুন বলেন, আমার ছেলে মজিবুর খুবই সরল ও শান্ত প্রকৃতির। সে কোন দিন এলাকার কোন ছেলেকে তুমি ছাড়া তুই বলে সম্বোধন করেনি। আর ফয়সাল একটা বখাটে, গাজাঁখোর। এলাকায় সে খারাপ প্রকৃতির ছেলে হিসেবে চিহ্নিত। সে আমার ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আমি এর সুষ্ট বিচার চাই।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।