আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে রবিবার (১৪ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মনোমুগ্ধকর লাঠিখেলা ও জারিগান অনুষ্ঠিত হয়েছে। নববর্ষের আনন্দকে বর্ণিল রঙে রাঙাতে ঐতিহ্যবাহী এ আয়োজনকে ঘিরে এ দিন আনন্দে মাতে সব বয়সের মানুষ।
বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া বর্নাঢ্য নানা আয়োজনের মধ্যে অন্যতম আকর্ষন ছিল গ্রামীন জনপদের আনন্দ বিনোদনের অন্যতম অনুসঙ্গ লাঠিখেলা ও জারিগান। পহেলা বৈশাখের সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা ও জারিগান প্রদর্শনীর এ আয়োজন নতুন মাত্রা এনে দেয় বর্ষবরনের উচ্ছাস ও আনন্দে। পুলক জাগানো এ আয়োজনকে ঘিরে এ দিন ব্যাপক দর্শক সমাগম ছিল উপজেলা পরিষদ চত্বরে।
উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু, পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম আকন্দ, পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. কফিল উদ্দীন, হোসেন্দী ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাদীউল ইসলাম, চরফরাদী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, পাটুয়াভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক জুটনসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা প্রানবন্ত ঐতিহ্যবাহি এ লাঠিখেলা ও জারিগান উপভোগ করেন।
লাঠিখেলা ও জারিগানের এ আয়োজন সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালির সার্বজনীন উৎসব। এই উৎসবকে আনন্দঘন করে তোলার পাশাপাশি বাঙ্গালি সংস্কৃতি ও গ্রামীন জনপদের বিনোদনের অন্যতম অনুসঙ্গ লাঠিখেলা ও জারিগান। তাই একে পৃষ্ঠকতা দিয়ে উজ্জীবিত করাই এ আয়োজনের উদ্দেশ্য।লাঠিখেলা ও জারিগান ছাড়াও বর্ষবরন উপলক্ষ্যে পাকুন্দিয়ায় মঙ্গল শোভাযাত্রা, নাচ ও গানসহ ছিল নানা ধরনের বর্নাঢ্য আয়োজন।