আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘বাহাদুর’। বিশাল আকৃতির বাহাদুরের ওজন প্রায় ২৪মণ। সাধারণ মানুষের নজর কাড়ছে। বাহাদুরকে একনজর দেখতে মানুষের যেন আগ্রহের শেষ নেই। তাই প্রতিদিনই এ বাড়িতে মানুষের আনাগোনা লেগেই থাকে। মালিকের আশা ১০লাখ টাকায় ষাঁড়টি বিক্রি হবে। তিনি দাবি করেন, পাকুন্দিয়া উপজেলার মধ্যে তাঁর ষাঁড় আকার ও আকৃতিতে সবচেয়ে বড়।
জানা যায়, উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের পশ্চিম কুমারপুর গ্রামের বাসিন্দা গোলাম রব্বানী। তিনি পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার মঙলবাড়িয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপারেন্টেনডেন্ট। তাঁর স্ত্রী হ্যাপি আক্তার একই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক। এ দম্পতির ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভী রয়েছে। আড়াই বছর আগে ওই গাভীটি একটি ষাঁড় বাছুর জন্ম দেয়। সেই থেকে নিজ বাড়িতে নিজ সন্তানের মতো করে পরম যতেœ লালন-পালন করে আসছেন ষাঁড় বাছুরটিকে। হ্যাপি আক্তার আদর করে ষাঁড় বাছুরটির নাম রেখেছেন ‘বাহাদুর’। এবারের কোরবানির ঈদে ষাঁড়টি বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন ওই দম্পত্তি। ষাঁড়টি ফিতার মাপে প্রায় ২৪মণ হওয়ায় ১০লাখ টাকা দাম ধরেছেন তারা। চাহিদা অনুযায়ী দাম না পাওয়ায় ষাঁড়টি এখনো তাঁদের বাড়িতেই আছে।
গোলাম রব্বানী বলেন, ‘অনেক যত্ন করে এবারের কোরবানের ঈদে বিক্রির জন্য ষাঁড়টি লালন-পালন করছি। আকারে বিশাল হওয়ায় এই ষাঁড়ের পরিচর্যা করা খুবই কঠিন। তাকে খাওয়ানো, গোসল করানোসহ সবকিছু লক্ষ্য রাখতে হয় নিয়মিত। স্থানীয় হাটে এ ধরনের গরুর চাহিদা থাকলেও কাঙ্খিত দাম পাওয়া দুস্কর। ঈদের বাজার এখনো না জমায় ষাঁড়টি এখনো বাড়িতেই আছে। তবে করোনা পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায় তা নিয়ে শঙ্কিত। তারপরও সব মিলিয়ে ভালো দাম পাবো বলে আশা করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘পরম যত্ন করায় আড়াই বছরে ষাঁড়টির ওজন হয়েছে প্রায় ২৪মণ। ষাঁড়টি আকারে সাড় সাত ফুট লম্বা ও পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি উঁচু। ষাঁড়টির রং কালো ও সাদা তিলক রয়েছে। মাথায় সাদা রঙের তিলক থাকায় ষাঁড়টি দেখতে আকর্ষণীয়। তিনি বলেন, বাহাদুরের জন্য খড়, খৈল, ভুষি, ভুট্টা, চিটাগুড়, নেপিয়ার ঘাস, সুষম খাদ্য আর চিকিৎসা দিয়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক হাজার টাকা খরচ হয়।’
পাকুন্দিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মো.আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রাকৃতিক উপায়ে ষাঁড়টিকে লালন পালন করছেন গোলাম রাব্বানী। ষাঁড়টি দেখতে অনেক সুন্দর। প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।