আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বাড়িঘর ও নির্মাণাধীন স্থাপনা ভাংচুর-লুটপাট ও মারধরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী মুন্সীবাড়ি এলাকার নিজ বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবী করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মাহফুজা বেগম। তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের চরপাড়া (মুন্সিবাড়ি) গ্রামে আমার নিজ বাড়ি। সেখানে ২৬ শতাংশ জায়গার মধ্যে একটি পাকা ঘর নির্মাণ করছিল আমার ছেলে মাহফুজুল হুদা নোমান। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে আমার আপন ভাতিজা আহমেদ আমিন হিমেলের নেতৃত্বে দেড়শতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী একটি ভেকু, হ্যামার, শাবল ও দেশীয় অস্ত্রাদি নিয়ে আমার নির্মাণাধীন স্থাপনাসহ একটি বসতঘর ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এতে আমার প্রায় ২১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও আহমেদ আমিন হিমেলের হুকুমে নোমানের হাত-পা বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ও তার একটি পা ভেঙে দেয়। এ সময় নোমানের সঙ্গে থাকা ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। নোমান বর্তমানে কিশোরগঞ্জ শহীদ নজরুল ইসলাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে ঘটনার দিন রাতে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-১৯/৩৪। কিন্তু এখন পর্যন্ত এজাহার ভুক্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। মামলা করায় আসামীরা আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। এমতাবস্থায় আমি আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সাহায্য কামনা করছি।
এ সময় পরিবারের অন্য সদস্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জসিমুল হুদা মিন্টু, মুহিব্বুল হুদা রঞ্জু, ডা. নাছিমাতুল জান্নাত মিতুল, আমিনুল হক মিল্কি ও মো. সালেক আহমেদ প্রমুখ। এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত আহমেদ আমিন হিমেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান বলেন, এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।