পাকুন্দিয়ায় বাড়ির ভিটে ফিরে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে অসহায় জয়নাল

0

আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের চরদেওকান্দি গ্রামের সন্ত্রাসী মির্জালীর বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে জয়নাল মিয়া নামের এক অসহায় ব্যক্তির বাড়ির ভিটে জবর-দখল করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও সন্ত্রাসী মির্জালী ও তার লোকজন অসহায় জয়নাল মিয়া ও তার পরিবারকে হত্যাসহ নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় মাতব্বরসহ প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও জয়নাল মিয়া কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।

জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত মহরম আলীর ছেলে মো.জয়নাল মিয়া মঠখোলা-থানাঘাট পাকা সড়কে জামালপুর ঈদগাহের দক্ষিণ পাশে পৈত্রিক ও খরিদা জায়গার ওপর দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। ওই সম্পত্তি জয়নাল মিয়ার নামে নামজারী-খতিয়ানও প্রচার আছে। তাঁর বাড়ির দক্ষিণ পাশে মৃত শহর আলীর ছেলে সন্ত্রাসী মির্জালী পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। কিছুদিন আগে হঠাৎ করে দিনের বেলায় জয়নাল মিয়ার বাড়ির উঠানে ঢুকে সন্ত্রাসী মির্জালী তার দুই মেয়ে ফাতেমা খাতুন ও সুফিয়া খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে জবর-দখল করে নিয়ে যায় প্রায় পাঁচ শতাংশ জায়গা। শুধু তাই নয় ওই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতেও জয়নাল মিয়াকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে মির্জালী ও তার সন্তানরা। এমনকি নিজ ভিটায় ঘর নির্মাণ করতেও জয়নালকে বাধা দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। এনিয়ে এলাকায় একাধিক শালিস-দরবার করেও কোনো সুরাহা দিতে পারেননি স্থানীয় মাতব্বররা। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তিনি।

অসহায় জয়নাল মিয়া বলেন, ‘সাফ কাবলা দলিলমূলে ও পৈত্রিক সূত্রে বাড়ির ভিটায় আমার সাড়ে ১৩শতাংশ জায়গা রয়েছে। আমার জায়গাটি পানির মতো পরিস্কার ও চিহ্নিত। আমার নামে নামজারী-খতিয়ানও প্রচার আছে। আমাকে অসহায়, নিরীহ ও দুর্বল পেয়ে সন্ত্রাসী মির্জালী তার দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে জোরপূর্বক আমার পাঁচ শতাংশ জায়গা দখল করে নিয়ে গেছে। আমি সঠিক তদন্তপূর্বক এই ঘটনার বিচার চাই।’

অভিযুক্ত মির্জালীর বক্তব্য নেওয়ার জন্য খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এগারসিন্দুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো.আবুল কাশেম বলেন, ‘মির্জালী ও তার সন্তানরা খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। এবিষয়ে কয়েকটি দরবার করেছি। কিন্তু ওরা আমাদের কোনো কথা রাখেনি। তবে জয়নাল মিয়া একজন নিরীহ ও অসহায় ব্যক্তি। কাগজপত্র তার পক্ষে সঠিক পাওয়া গেছে।’

পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা.) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) একেএম লুৎফর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়ে সঠিক কাগজপত্র নিয়ে দুই পক্ষকে উপস্থিত হওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু মির্জালী উপস্থিত হননি। পরবর্তীতে ভূমি অফিসের অফিস-সহকারী জিয়াউর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য।

Share.