পাকুন্দিয়ায় বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী বাড়িছাড়া

0

আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী বাড়িছাড়া। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশের পর থেকে গ্রেফতার ও মামলা থেকে বাঁচতে ১৫ দিন ধরে কেউ বাড়ি-ঘরে থাকছেন না। আর কোন নেতা-কর্মীকেও মাঠে দেখা যাচ্ছে না চলমান অবরোধ কর্মসূচীতে।

উপজেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দিতে পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি ও ইউনিয়ন বিএনপিসহ এর অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী ঢাকায় যান। ওই মহাসমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে একজন পুলিশ সদস্য নিহত ও কয়েকজন আহত হওয়ার জেরে মহাসমাবেশটি পন্ড হয়ে যায়। এরপর নেতাকর্মীরা এলাকায় এলেও গ্রেফতারের ভয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। অনেকেই আবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মীয়-স¦জনের কাছে আশ্রয় নিয়েছেন। ঢাকার ওই ঘটনার রেশ ধরে গত দুই সপ্তাহ ধরে পাকুন্দিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এ অভিযানে পুলিশ বিএনপি ও অঙ্গসংঠনের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করে কারাগারে পাঠায়।

পুলিশের এই অব্যাহত অভিযানের হাত থেকে বাঁচতে তারা নিরাপদে অবস্থান করছেন। এমনকি বিএনপির ডাকা চলমান সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচীতেও কোন নেতাকর্মীকে মাঠে দেখা যাচ্ছেনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা বিএনপির একজন নেতা বলেন, ঢাকার মহাসমাবেশ থেকে ফিরে গ্রেফতার ও মামলার ভয়ে বাড়িতে থাকছিনা। অন্যত্র অবস্থান করছি, কবে বাড়ি-ঘরে ফিরতে পারব তাও বলতে পারছিনা।

পাকুন্দিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি এ এস এম মিনহাজ উদ্দীন বলেন, সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো- গত বছরের ডিসেম্বরে পুলিশ বাদী হয়ে বিষ্ফোরক আইনে পাকুন্দিয়া থানায় একটি গায়েবি মামলা দায়ের করে। এতে শতাধিক অজ্ঞাতনাামা ব্যাক্তিকে আসামী করা হয়। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠাচ্ছে পুলিশ। ২৮ অক্টোবরের পর থেকে প্রতিদিন বাসায় বাসায় গিয়ে তল্লাশী ও গ্রেফতার করছে পুলিশ। বিএনপির সমর্থকরাও বাড়িতে থাকতে পারছেনা। গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক নানা জায়গায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন বলেন, আমরা কাওকে অহেতুক হয়রানি করছিনা। যাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা ও অভিযোগ রয়েছে তাদেরকেই আমরা গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

Share.