পাকুন্দিয়ায় বিতর্কিতদের দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি গঠনের অভিযোগ

0

আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
টাকার বিনিময়ে নিষ্ক্রিয় ও বিতর্কিত ব্যক্তিকে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব পদ দিয়ে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ত্যাগী, পরীক্ষিত ও কারা নির্যাতিত নেতাদের বাদ দিয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও দাবি জানিয়েছেন নবগঠিত কমিটির অধিকাংশ নেতাকর্মীরা। আজ সোমবার দুপুরে পাকুন্দিয়া প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে কমিটি পুনর্গঠনেরও দাবি জানানো হয়।

নবগঠিত কমিটির যুগ্মআহ্বায়ক মো.রাসেল মিয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যারা রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছে, হামলা-মামলার শিকার হয়ে কারা নির্যাতিত হয়েছে তারা পদবঞ্চিত হয়েছে। এমন দুইজনকে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের পদ দেওয়া হয়েছে-যারা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় রাজনীতিতে অনুপস্থিত ও বিদেশে অবস্থান করেছেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, এক প্রভাবশালী প্রবাসী নেতার মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তাদের এ পদ দেওয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। বিতর্কিতদের শীর্ষ পদ দেওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাই এ কমিটি প্রত্যাখান করে ইতিমধ্যে আটজন যুগ্মআহ্বায়কসহ অধিকাংশ সদস্যই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। অবিলম্বে ত্যাগী ও যোগ্য নেতাদের শীর্ষ পদে রেখে কমিটি পুনর্গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতি আহ্বান জানাই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন-নবগঠিত কমিটির যুগ্মআহ্বায়ক রায়হান হোসেন ভূঁইয়া, ফরহাদ আহমেদ আপন, আজম ইকবাল শিপন, আনিসুর রহমান রানা, আনোয়ার হোসেন আঙ্গুর, সজিব মিয়া, শরীফ ভূঁইয়া, রাসেল আহমেদসহ সদস্য হারুন অর রশিদ, শেখ আনোয়ারুল ইসলাম, শাহজাহান সাজু, সিরাজ মিয়া, শরিফ মিয়া ও আবু বাক্কার সিদ্দিক প্রমুখ ।

এ ব্যাপারে নবগঠিত কমিটির সদস্য সচিব মো.মঞ্জুরুল হক বলেন, তাদের অভিযোগ সঠিক নয়। আমি দীর্ঘ ১৭বছর ছাত্রদল করেছি। বিদেশে অবস্থান করেও জেলা প্রচার দলের সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেছি। জেলা-উপজেলার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। দুই বছর আগে দেশে ফিরে আবারও স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছি।

উল্লেখ্য, গত ১২ডিসেম্বর একেএম আমিনুল আলম পলাশকে আহ্বায়ক ও মঞ্জুরুল হককে সদস্য সচিব করে ৩১সদস্য বিশিষ্ট পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।

Share.