পাকুন্দিয়ায় ভাইয়ের শত্রু ভাই

0

আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হুমায়ুন কবির বাদল নামে এক ব্যক্তিকে লাঠি দিয়ে মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে সোহাগ মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন রিনাকেও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) উপজেলার এগারসিন্দুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আজ বুধবার দুপুরে হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামী করে কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-৩ এ একটি মামলা করেছেন।

আসামীরা হলেন, উপজেলার এগারসিন্দুর গ্রামের মৃত দৌলত হোসেনের ছেলে মো. সোহানুর রহমান সোহাগ, ফারুক মিয়া, রোজিনা আক্তার ও হোসনা আক্তার এবং সোহাগের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী পক্ষ ও বিবাদী পক্ষ তাঁরা সম্পর্কে সৎ ভাই-বোন। পিতার মৃত্যুর পর থেকে জমি জমা নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধ চলছে। গত বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৬ টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন দা, কিরিচ, লোহার রড, ছুরি, লাঠি ও কুড়ালসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাদল মিয়ার ভোগ দখলীয় জমিতে ঢুকে জোর করে আম, জাম ও কাঠালের চারা কাটতে থাকে। এতে বাদল মিয়া ও রিনা আক্তার বাধা দিলে সোহাগ মিয়া লোহার রড দিয়ে বাদল মিয়াকে এলোপাতারি পেটাতে থাকে। রিনা আক্তার স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাঁকেও সোহাগ মিয়া লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় ফারুক মিয়া রিনার গলা থেকে ১২ আনা ওজনের একটি সোনার চেইন নিয়ে যায়। যার মূল্য ৪৫ হাজার টাকা। একপর্যায়ে রোজিনা আক্তার ছুরি দিয়ে রিনা আক্তারের বাম পায়ে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। তাঁদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা চলে যায়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

এছাড়াও ঘটনার এক দিন পর শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে পূর্ব বিরোধের জেরে পাকুন্দিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকে চিকিৎসাধীন রিনা আক্তারকে মারধর করে প্রতিপক্ষের রোজিনা আক্তার ও হোসনা আক্তার। এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী রিনা আক্তার।

বাদী হুমায়ুন কবির বাদল বলেন, আমরা খুবই আতঙ্কে আছি। আমার প্রতিপক্ষের লোকজন খুবই ভয়ানক প্রকৃতির। আমাদের নিরীহ পেয়ে বাড়িতে ফেলে মেরেছে, আবার হাসপাতালে গিয়েও চিকিৎসাধীন আমার স্ত্রীকে মারধর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানায় মামলা করতে গেলে থানায় মামলা নেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আজ বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-৩ এ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমি এর সুষ্ট বিচার চাই।

Share.