পাকুন্দিয়ায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন

0

আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাকুন্দিয়াসহ আট বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন।

প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে সর্বমোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ৫০টি মডেল মসজিদ আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মধ্যে পাকুন্দিয়া উপজেলা মডেল মসজিদটিও রয়েছে।

কিশোরগঞ্জ-ঢাকা সড়কের পশ্চিম পাশে পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ মডেল মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। উদ্বোধনের পরই মুসল্লিরা জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করেন মসজিদে।

উদ্বোধনের সময় পাকুন্দিয়া মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে অংশ নেন কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য পুলিশের সাবেক মহা-পরিদর্শক (আইজিপি) নূর মোহাম্মদ।

তিনি বলেন, গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি পাকুন্দিয়া মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাকুন্দিয়া ও কটিয়াদী উপজেলার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। একসঙ্গে এতো মসজিদ বিশে^র কোনো মুসলিম রাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত কোনো সরকার করতে পারেননি। যা করে দেখিয়েছেন জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা। এই মডেল মসজিদে ইসলামের জ্ঞান অর্জনের জন্য সব ধরনের সুব্যবস্থা করা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো.গোলাম মোস্তফা, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.ইব্রাহীম হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.রফিকুল ইসলাম রেনু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত)একেএম লুৎফর রহমান ও পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সারোয়ার জাহান প্রমুখসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী, ইউপি চেয়ারম্যান, বীরমুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার গন্যমান্য ব্যক্তিরা।

অত্যাধুনিক এ মসজিদটিতে এক সঙ্গে ৯শত মানুষের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা, নারী ও পুরুষের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, প্রতিবন্ধী, মুসল্লিদের টয়লেটসহ নামাজের পৃথক ব্যবস্থা, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্ণার, ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, ইসলামিক গবেষণা ও দ্বীনি দাওয়া কার্যক্রম, পবিত্র কুরআন হেফজখানা, শিশু ও গণশিক্ষার ব্যবস্থা, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আবাসন ও অতিথিশালা, মরদেহ গোসল ও কফিন বহনের ব্যবস্থা, ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিসের ব্যবস্থা এবং গাড়ি পার্কিং এর সুবিধা রাখা হয়েছে। মডেল মসজিদটিতে দ্বীনির দাওয়া কার্যক্রমের পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, যৌতুক, নারীর প্রতি সহিংসতাসহ বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধি রোধে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

Share.