আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে আজ সোমবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অভিযুক্ত নেতাকর্মীরা। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ‘মকবুল তুই রাজাকার, এই মুহূর্তে পাকুন্দিয়া ছাড়, নেতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার প্রত্যাহার করতে হবে, নইলে তোর পাকুন্দিয়া ছাড়তে হবে’ এই শ্লোগানে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি পাকুন্দিয়া সদর বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে থানা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে নেতাকর্মীরা।
পাকুন্দিয়া পৌর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন পাপ্পুর সভাপতিত্বে ও পৌর ছাত্রলীগের যুগ্মআহ্বায়ক ফরিদুজ্জামানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, পাকুন্দিয়া পৌর মেয়র ও আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আকন্দ, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবু, উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আরমিন আহমেদ, কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা সাকিবুল হাসান মুন্না প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গতকাল রবিবার হাজী মকবুল হোসেনের ওপরে কে বা কারা আক্রমণ করেছে, এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। অথচ আমাদের বিরুদ্ধে তিনি অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা নাকি তাকে মেরেছি এবং তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়েছি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমাদের ওপর দেওয়া এই অপবাদ প্রত্যাহার করতে হবে, নইলে মকবুল হোসেনকে পাকুন্দিয়ায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবেনা। তারা আরও বলেন, মকবুল হোসেন ছিল বিএনপির উপজেলা কমিটির ১৪নম্বর যুগ্মআহ্বায়ক। সে টাকার বিনিময়ে আওয়ামীলীগে প্রবেশ করে দলটিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আমরা তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করছি। তাকে আর পাকুন্দিয়ায় ঢুকতে দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার বেলা ২টার দিকে হাজী মকবুল হোসেনকে পাকুন্দিয়া অগ্রণী ব্যাংকের সামনে কে বা কারা মারধর করেছে। এসময় দুর্বৃত্তরা তার কাছ থেকে ১৫লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে দাবি করেছেন মকবুল হোসেন। এ ঘটনায় পাকুন্দিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে কয়েকটি অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে আজ সোমবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অভিযুক্ত নেতাকর্মীরা।