আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা পোস্ট অফিসে রেভিনিউ স্ট্যাম্পের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে প্রতিদিন উপজেলা পরিষদসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা ও এনজিও থেকে টাকা তুলতে আসা লোকজনকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সংকট সমাধানে দ্রুত রেভিনিউ স্ট্যাম্প সরবরাহের দাবী জানিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না।
জানা গেছে, ডাক টিকিটের মত সরকারি রাজস্ব খাতে রেভিনিউ হিসাব অর্থ গ্রহণের মাধ্যমে হিসাবে ব্যবহৃত হয় এ স্ট্যাম্প। সাধারণত কোনো বিলের অর্থ সরকারি কোষাগার হতে গ্রহনের জন্য এ রেভিনিউ স্ট্যাম্প বিলে লাগিয়ে স্বাক্ষর করতে হয়। সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশ, এমটিডিআর, এফডিআরসহ মাসিক মুনাফা ভিত্তিক বিভিন্ন স্কীমের লভ্যাংশ, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিলেও এ রেভিনিউ স্ট্যাম্প লাগানোর বিধান রয়েছে। ৪০০টার অধিক লেনদেন হলেই ১০টাকা মূল্যের রেভিনিউ স্ট্যাম্প লাগাতে হয়। এই রেভিনিউ স্ট্যাম্প ডাকঘর হতে কিনতে হয়। বর্তমানে ডাকঘরে এই রেভিনিউ স্ট্যাম্পের সরবরাহ নেই।
পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন কার্যালয়ের কয়েকজন অফিস সহকারী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে থেকে রেভিনিউ স্ট্যাম্পের সংকট চলছে। এই স্ট্যাম্পের অভাবে অফিসের বিল ভাউচার করা যাচ্ছে না। কাজকর্ম মারাত্মক ভাবে ব্যহত হচ্ছে।
উপজেলার আতকাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আল আমিন বলেন, রেভিনিউ স্ট্যাম্প কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে আমাদের শিক্ষকদের বেতন দেওয়া যাচ্ছে না। গত ৪দিন আগে ইউআরসিতে আমাদের একটি প্রশিক্ষণ হয়েছে কিন্তু স্ট্যাম্পের অভাবে আমাদের সম্মানীর টাকাও দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
পাকুন্দিয়া উপজেলা পোস্ট মাস্টার মো. সোলায়মান ভূঁইয়া বলেন, গত ২ জুন থেকে ১০টাকা মূল্যের রেভিনিউ স্ট্যাম্প আমাদের অফিসে শেষ হয়ে গেছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট রেভিনিউ স্ট্যাম্প প্রেরণের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রেরিত চাহিদার বিপরীতে এখনও কোন রেভিনিউ স্ট্যাম্প পাওয়া যায়নি। তাই সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা ফিরে যাচ্ছেন। আশা করছি খুবই দ্রুতই তা আমরা পেয়ে যাব এবং সংকট কেটে যাবে।