আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংখ্যালঘু এক পরিবারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাটসহ তিন নারীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও বাড়ির চারপাশে কাঁটাতার দিয়ে বেড়া দেওয়ায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ওই সংখ্যালঘু পরিবারটি। শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারোসিন্দুর ইউনিয়নের তালদর্শী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে অশোক কুমার দে বাদী হয়ে ৩৩জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০জনকে অভিযুক্ত করে পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তালদর্শী গ্রামের অশোক কুমার দে এর সঙ্গে পাশের গ্রামের কুতুব উদ্দীন পাঠান গংদের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। এনিয়ে আদালতে দীর্ঘদিন ধরে মামলাও চলছে। এর জেরে শনিবার সকাল ৯টার দিকে কুতুব উদ্দীন ৫০-৬০জন সন্ত্রাসী নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ অশোক কুমার দে’র বাড়িতে হামলা চালায়। পরে বসতঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এক লাখ টাকার ক্ষতি করে। এসময় সন্ত্রাসীরা সুকেচের ড্রয়ারের তালা ভেঙে নগদ ৫৫হাজার ৫০০টাকা ও স্টীলের আলমিরার ড্রয়ারের তালা ভেঙে সাড়ে তিন ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও ১৪হাজার টাকা মূল্যের একটি মুঠোফোন নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মালামাল রক্ষার জন্য ছুঁটে যায় অশোক কুমার দে’র মা ঝর্ণা রাণী দে, স্ত্রী প্রিয়তি রানী দে ও বোন সীমা রাণী দে। এসময় সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি মারপিট করে তাদের গুরুতর আহত করে। এক পর্যায়ে শাহাদাত হোসেনের ছেলে দিদার প্রিয়তি রানীর গলা থেকে এক ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। যার মূল্য ৬৫হাজার টাকা। তাদের ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
অশোক কুমার দে বলেন, ‘আমরা নিরীহ সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য। মা, বোন ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছি। অপর দিকে কুতুব উদ্দীন পাঠান গং খুবই খারাপ প্রকৃতির লোক। তারা ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এমনকি বাড়ির চারপাশে পাকা পিলারের খুঁটি পুঁতে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে কুতুব উদ্দীনের লোকজন। আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না।’
অভিযুক্ত কুতুব উদ্দীনের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো.সারোয়ার জাহান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।