আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আব্দুল বাতেন নামের এক কৃষকের একটি ঘর ভেঙ্গে দেড় লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের পশ্চিম কুমারপুর গ্রামে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে এ ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাটি ঘটে।
কৃষক আব্দুল বাতেন বলেন, বাড়ির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশী সখিনা খাতুনের সঙ্গে আমার বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে সখিনা খাতুনের ভাড়াটে সন্ত্রাসী জাকির, কবির, সাগর, সিদ্দিক ও বাবু ২০-২২ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হঠাৎ আমার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা আমার বসত ঘরের বেড়াসহ দরজা জানালা রামদা দিয়ে কুপিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। পরে ঘরে ঢুকে একটি শোকেজ ও স্টীলের সিন্দুকের তালা ভেঙ্গে নগদ দেড় লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় বাধা দিতে গেলে আমার স্ত্রী সাজেদা খাতুনকে (৫৫) মারধর করে আহত করে। তাকে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম শিহাব বলেন, হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এরা টাকার বিনিময়ে এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে থাকে। খবর পেয়ে আমিসহ এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। হোসেন্দী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হাদীউল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছি। এ বিষয়ে থানার ওসি সাহেবের সঙ্গে আলাপ করেছি। এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ সারওয়ার জাহান বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত সখিনা খাতুন পলাতক থাকায় এ বিষয়ে তাঁর কোনো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।