আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মোঃ হাবিবুর রহমান নামের এক স্কুল ছাত্রকে কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করেছে একদল বখাটে। সোমবার বিকেলে পাকুন্দিয়া সরকারি স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে একজনের নাম উল্লেখ করে অপরিচিত আরো সাত-আটজনকে অভিযুক্ত করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রের বাবা মোঃ ফাইজুর রহমান।
আহত হাবিবুর রহমান উপজেলার তারাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় বাহরামখান পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র। বর্তমানে তিনি কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্তের নাম প্রান্ত। তিনি উপজেলার চরপাকুন্দিয়া গ্রামের শরীফ মিয়ার ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস ধরে পাকুন্দিয়া উপজেলা সদর পোস্ট অফিসের সামনের একটি বাসায় এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ে হাবিবুর রহমান। গতকাল সোমবার বিকেলে যথারীতি প্রাইভেট পড়া শেষে পাকুন্দিয়া সরকারি স্কুলের সামনের পাকা সড়কের পশ্চিম পাশে একটি ফুচকার দোকানে ফুচকা খাচ্ছিল হাবিবুর রহমান। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রান্ত তার সাত-আটজন সঙ্গীকে নিয়ে ছুরা, কিরিচ ও লাঠি হাতে ওই দোকানে যায়। সেখানে গিয়ে প্রান্ত ও তার সঙ্গীরা হাবিবুর রহমানের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে প্রান্ত হাবিবুর রহমানের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। অন্যরা হাবিবুর রহমানকে এলোপাতারি পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফোলা নীলা জখম করে। এ সময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্বার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত হাবিবুর রহমানের বাবা ফাইজুর রহমান বলেন, অভিযুক্তরা খুবই খারাপ প্রকৃতির। তাদের বিরুদ্বে এলাকায় অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার ছেলেকে খুন করার উদ্দেশ্যে তাকে কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থান জখম করেছে প্রান্ত। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ সারওয়ার জাহান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তসাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্বে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।