আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় শ্যামল মিয়া (২৬)নামের এক যুবক ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর করে ছিনতাইকারীরা স্বর্ণালংকার ও টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার আহুতিয়া গ্রামের আমতলী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত শ্যামল মিয়াকে স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটলেও শুক্রবার রাতে উপজেলার আহুতিয়া গ্রামের বজলুর রহমান ভুলুর ছেলে অভি ও হাদিউল ইসলাম হাদুর ছেলে শাকিল এবং রূপসা গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে রাসেল নামের তিন যুবককে অভিযুক্ত করে পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শ্যামল মিয়া। তিনি উপজেলার পাটুয়াভাঙা ইউনিয়নের আহুতিয়া গ্রামের মো.বজলুর রশিদের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে শ্যামল মিয়া উপজেলার জাঙালিয়া গ্রামের শশুড় বাড়ি হইতে তাঁর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সিএনজিযোগে নিজ বাড়ি যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আহুতিয়া সাকিনস্থ আমতলী বাজার এলাকায় জাহাঙ্গীর আলমের মুরগির খামারের সামনে পৌঁছলে অভি, শাকিল ও রাসেল দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সামনে থেকে তাদের পথরোধ করে। সিএনজি থামানোর সঙ্গে সঙ্গে ছিনতাইকারী শাকিল ও রাসেল শ্যামল মিয়া ও তাঁর স্ত্রীকে সিএনজি থেকে টেনে-হেঁচড়ে নামিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এসময় অভি শ্যামলের বুকে চাকু ঠেকিয়ে প্যান্টের পকেটে থাকা ৯০হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। অপরদিকে ছিনতাইকারী রাসেল ও শাকিল শ্যামলের স্ত্রীর গলায় থাকা ৬০হাজার টাকা মূল্যের এক ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। এসময় তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী শ্যামল মিয়া বলেন, ওরা সম্পূর্ণ খারাপ প্রকৃতির লোক। ওরা বখাটে ও গাঁজাখোর। ওরা প্রায়ই রাতের বেলায় বিভিন্ন সড়কে মানুষকে আটকিয়ে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পাকুন্দিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহসিন হাসান অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযুক্তদের কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।