আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত তোরাব আলী (৭৫) নামের এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙলবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। তিনি উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের সুখিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মঙলবার দুপুরে স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে তোরাব আলীর স্ত্রী ফাতেমা আক্তারের বাম হাতের হাড় ভেঙে যায়। ওই ভাঙা হাতের চিকিৎসা করাতে মঙলবার সকালে একই উপজেলার হোসেন্দী এলাকার এক কবিরাজের বাড়িতে যান। এসময় তাদের সঙ্গে পুত্রবধূ মদিনা খাতুনও ছিলেন। চিকিৎসা শেষে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা যোগে নিজ বাড়ি সুখিয়া গ্রামে ফিরছিলেন। বেলা ২টার দিকে অটোরিকশাটি হোসেন্দী-মঙলবাড়িয়া সড়ক হয়ে পাকুন্দিয়া-পুলেরঘাট সড়কের শ্রীরামদী এলাকায় (লেঞ্জি ভূঁইয়ার দোকানের সামনে) পৌঁছলে পুলেরঘাট থেকে ছেড়ে আসা একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় ও চালকসহ তিন যাত্রী গুরুতর আহত হন। এসময় মাইক্রেবাসটিও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে অটোরিকশা চালক নিজাম আলী, মাইক্রোবাস চালক সুমন মিয়া, অটোরিকশার যাত্রী তোরাব আলী, ফাতেমা আক্তার ও মদিনা খাতুন গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজনসহ এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তোরাব আলীসহ তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে তোরাব আলী মারা যান।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো.সারোয়ার জাহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আহত তোরাব আলী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।