আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হিজড়াদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাকুন্দিয়া উপজেলা গ্রুপের সর্দার মিলনসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার রাতে উপজেলার ছোটআজলদী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহত দুইজন সেখানে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আহতরা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ছোটআজলদী বাজার এলাকায় পাকুন্দিয়ার মিলন গ্রুপ চাঁদা আদায় করতে যায়। এসময় কিশোরগঞ্জ ও পুলেরঘাট এলাকার জোনাকী ও উজ্জল গ্রুপ নামে হিজড়াদের অপর একটি গ্রুপের ১৫-২০জনের একটি দল লাঠি ও হকিস্টিক নিয়ে মিলন গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে পাকুন্দিয়া গ্রুপের সর্দার মিলনসহ শিউলি, বেবী নাজনীন, বিজলী ও তমা আহত হয়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত সর্দার মিলন ও সদস্য শিউলিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন মিলন বলেন, আমরা বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছোটআজলদী বাজারে টাকা তুলতে যাই। খবর পেয়ে জোনাকী ও উজ্জল গ্রুপের ১৫-২০জনের একটি দল চারটি অটোরিকশায় করে লাঠিসোটা ও হকিস্টিক নিয়ে এসে আমার গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এসময় জোনাকী ও উজ্জল আমার মাথায় হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও তারা আমার সমস্ত শরীরে হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। তিনি আরও বলেন, ওরা যাতে আমাদের এলাকায় কোনো দিন আসতে না পারে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে জানতে জোনাকী ও উজ্জল গ্রুপের কাউকে পাওয়া যায়নি।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন বলেন, এ বিষয়ে কেউ আমাকে কোনো কিছু জানায়নি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।