আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কুমারপুর গ্রামে হয়ে গেল গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরুর হাল দৌড় প্রতিযোগিতা। হারানো ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এলাকার যুব সমাজ। গরুর হাল দৌড় প্রতিযোগীতা দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় জমায়।
শনিবার বিকাল চারটার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের পশ্চিম কুমারপুর গ্রাম এলাকায় গরুর হাল দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে নানা রং ও আকারের হালের গরু মাঠে নিয়ে আসেন প্রতিযোগিরা।
প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি জোড়া হালের গরুর পেছনের মইয়ের ওপর দাড়িঁয়ে একজন কৃষক তাড়িয়ে নিয়ে যান গরু। আর যে গরু জোড়াটি সবচেয়ে কম সময়ে নির্ধারিত গন্তব্যস্থলে দৌড়ে গিয়ে পৌঁছতে পারবে- সেটিই হবে প্রতিযোগীতায় প্রথম। আর জিতে নিবে বিজয়ের পুরস্কার। এতে অংশ নেয় আট জোড়া হালের গরু(ষাঁড়)।
স্থানীয় কুমারপুর-মঙ্গলবাড়ীয়া গ্রামের যুব সমাজের আয়োজনে এ হাল দৌড় প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজকরা জানান, আমরা এখন থেকে প্রতিবছরই হাল দৌড়ের আয়োজন করবো। হারানো এ ঐতিহ্যকে বাচিঁয়ে রাখতে চেষ্টা করব। আর হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এমন আয়োজনে খুশি এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।
কুমারপুরপুর গ্রামের সাবেক শিক্ষক রুহুল আমীন মাষ্টারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, হোসেন্দী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মুজিবুর রহমান আকন্দ হামদু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোসেন্দী ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মানসুরুল হক বাবুল ও নাজমুল কবীর আলমগীর, সদস্য পদপ্রার্থী শিহাব উদ্দিন, লিমন মিয়া প্রমুখ।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু নিয়ে আসা লোকজন আটটি দলে ভাগ হয়ে হাল দৌড়ে অংশ নেন। প্রতিযোগীতায় প্রথম হয়েছেন আলমদী গ্রামের আব্দুল বাতেন, দ্বিতীয় হয়েছেন যৌথভাবে তালদশি গ্রামের আব্দুল কাদির ও মঙ্গলবাড়ীয়া গ্রামের জয়নাল মিয়া, তৃতীয় হয়েছেন তালদশি গ্রামের সুমন মিয়া। তারা প্রত্যেকেই একটি করে ছাগল পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রতিটি গরুর হালকে স্বান্তনা পুরস্কার হিসেবে একটি করে ছাতা উপহার দেয়া হয়।