আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ১১টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে নয়টিই অবৈধ। ব্যাক্তি মালিকানাধীন এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ইতিমধ্যে তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি সিলগালা করা হয়েছে। বাকী ছয়টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার(২৬ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৭২ ঘন্টার মধ্যে সারা দেশের অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেয়। নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার উপজেলার সব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো পরিদর্শন করে সিভিল সার্জন দপ্তরে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক কর্মকর্তা ডাঃ রেজাউল কবীর কাউসার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার ব্যক্তি মালিকানাধীন তিনটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও নিবন্ধন না থাকায় পাকুন্দিয়া চক্ষু হাসপাতাল ও এম এ বারী হেলথ কমপ্লেক্সকে বন্ধ ঘোষণা ও লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালাসহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে ১১টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে শুধু সেবা প্যাথলজি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং নিউ সেবা প্যাথলজি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে।
এছাড়া ইউনাইটেড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আনোয়ারা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পাকুন্দিয়া ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, তৈয়ব আলী ডিজিটাল মেডিকেল সেন্টার, মুরাদ প্যাথলজি সার্ভিস ও এগারসিন্দুর কমিউনিটি হাসপাতালের নিবন্ধন নবায়ন না থাকায় তাদের নবায়নের জন্য এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ নূর এ আলম বলেন, ইতিমধ্যে সিভিল সার্জন দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর কাগজপত্র যাচাই করা হয়েছে। দুইটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ছাড়া বাকী গুলো অবৈধভাবে চলছে। তিনটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাকী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে নিবন্ধন নবায়নের জন্য এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।