স্টাফ রিপোর্টারঃ
একসময় বাড়ির আঙ্গিনা ও ঝোঁপঝাড়ে প্রাকৃতিক ভাবে জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠে অবহেলিত ভাবে চাষ হওয়া আলু এখন চাষ হচ্ছে বানিজ্যিক ভাবে। যা পান আলু বা গাছ আলু নামে পরিচিত। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই আলু যখন বিলুপ্তির পথে তখন দেশের অন্যান্য জায়গার মতো কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বাণিজ্যিকভাবে পান আলুর চাষ হচ্ছে। অল্প খরচ, তবে উৎপাদন ও বাজার মূল্য বেশি থাকায় দিন দিন পান আলু চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
কান্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পাকুন্দিয়ায় চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বড় আজলদী গ্রামে চাষ করা হয়েছে পান আলু। মানুষের ভূমি চাহিদা বাড়ার প্রভাবে পুষ্টিগুণে ভরা লতানো এই গাছ আলু এখন বিলুপ্তির পথে। এই আলু চাষের জন্য আলাদা জমি, সার ও বাড়তি যতেœর প্রয়োজন হয় না। এটি রিলে ফসল হিসেবে ফলন দেয়। জমিতে মাচা তৈরী করে কুমড়া, চিচিঙ্গা ও ঝিঙা ফলনের সাথে এপ্রিল মাসের প্রথমে গাছ আলু রোপণ করা হলে বাড়তি খরচ ছাড়াই একই মাছায় আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে গাছ আলুর ফলন আসে। ১০ শতক জমিতে মাটির উপর ৩০ থেকে ৩৫ মণ ফলন হয় যা প্রতি কেজি বাজারমূল্য ৩০ থেকে ৪০ টাকা। আবার মাটির নিচে ২৫ থেকে ৩০ মণ ফলন হয় যা ১৪০০-১৬০০ টাকা মণ বিক্রি করা যায়। গাছ আলু অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে ও বিনা পরিশ্রমে অধিক লাভজনক হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নূর-ই-আলম বলেন, এই উপজেলায় অধিকাংশ এলাকার মাটি দোআঁশ ও বেলে-দোআঁশ হওয়ায় এবং উপযোগী পরিবেশ থাকায় গাছ আলু বিনা খরচে আবাদ করা সম্ভব। স্থানীয় কৃষকদের বাণিজ্যিকভাবে এ আলু চাষ বাড়াতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। গাছ আলু চাষে কৃষকদের সঠিক পরার্মশ দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি সকল সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা। চলতি মৌসুম সারাদেশে ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে গাছ আলুর চাষ হয়েছে যার মধ্যে এ উপজেলায়ই চাষ হয়েছে ৪০০ হেক্টর জমিতে।