আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আন্ত:জেলা মাদকচক্রের হোতা, গাঁজা ও ইয়াবা কারবারি মো. শফিকুল ইসলামকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাঁর কাছ থেকে আড়াই কেজি গাঁজা ও ২১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। আজ সোমবার ভোরে উপজেলার থানাঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ। তিনি পাশ্ববর্তী ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের ছয়বাড়িয়া (বসু মাষ্টারের বাড়ি) গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। আজ সোমবার দুপুরে তাঁকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পাকুন্দিয়া থানা সূত্রে জানাযায়, গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে পাকুন্দিয়া থানার এসআই আরিফ রব্বানী ও এএসআই মো. শামীম মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওয়ারেন্ট তামিল ও মাদকবিরোধী অভিযানে নিয়োজিত ছিলেন। এসময় এসআই আরিফ রব্বানী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন উপজেলার চরদেওকান্দি গ্রামের থানাঘাট এলাকা দিয়ে শফিকুল ইসলাম অবৈধ মাদক দ্রব্য নিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সারোয়ার জাহানকে অবগত করা হয়। পরে তাঁর নিদের্শে পাকুন্দিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শ্যামল মিয়ার নেতৃত্বে জেমনী-৫ এ কর্মরত এএসআই মো. শামীম মিয়াসহ একদল পুলিশ নিয়ে থানাঘাট পুলিশ বক্সের পাকা রাস্তার উপর একটি চেকপোষ্ট স্থাপন করা হয়। পরে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের দেহ তল্লাশী চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গ্রেফতারকৃত শফিকুল ইসলাম দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ পরিদর্শক শ্যামল মিয়ার নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সদের সহযোগীতায় শফিকুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে উপস্থিত জনতার সামনে শফিকুলের দেহ তল্লাশী করে তাঁর কাঁধে ঝুলানো একটি ব্যাগ থেকে নিল পলিথিনে মোড়ানো আড়াই কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য ৫০ হাজার টাকা। এছাড়াও একই ব্যাগ থেকে সাদা পলিথিনে মোড়ানো লালছে গোলাপী রঙের ২১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য ৬ হাজার ৩০০ টাকা।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান বলেন, ভৈরব থেকে আড়াই কেজি গাঁজা ও ২১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলার থানাঘাট এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল গ্রেফতারকৃত শফিক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানাঘাট এলাকায় চেকপোষ্ট বসিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ সোমবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।