আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ হিসেবে চতুর্থ পর্যায়ে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় আরও ২২ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেওয়ার মধ্য দিয়ে উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২২ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আয়োজনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে ১৫৯টি উপজেলার সাথে পাকুন্দিয়া উপজেলাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ ঘোষণা দেন তিনি। উদ্বোধন ঘোষণর পরই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গোলাম মোস্তফা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পাকুন্দিয়া উপজেলায় ২২ পরিবারের মাঝে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘরের দলিলসহ চাবী হস্তান্তর করেন।
এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজলিন শহীদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে পাকুন্দিয়া প্রান্তে সংযুক্ত ছিলেন, কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গোলাম মোস্তফা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজলিন শহীদ চৌধুরী, পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম আকন্দ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ জুয়েল, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নাহিদ হাসান সুমন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রওশন করিম, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রওশন করিম জানান, ইতিমধ্যে উপজেলার একটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়নে ১৬৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার দুই শতাংশ জমিসহ গৃহ প্রদান করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ভূমি ও গৃহহীনদের আবেদন সংগ্রহ করে তাদের জমি ও ঘর প্রদান করা হয়েছে। শুধু ঘরই নয়, থাকছে নিজ নামে দুই শতক জমি, স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট, রান্নাঘর, সুন্দর বারান্দাসহ বসবাসের নিরাপদ সুবিধা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরী জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত উপজেলায় ১৬৬ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ঘর বিতরণের মাধ্যমে এ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এরপরও যদি ভূমিহীন ও গৃহহীন কাউকে পাওয়া যায় তাহলে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।