পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আদালতে মামলা

0

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের সরকারি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুরে কিশোরগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্দুন নূর এর আদালতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় কটিয়াদী উপজেলার শিমুলকান্দী গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন সুমন (৩৫), পাকুন্দিয়া উপজেলা বুরুদিয়া ইউনিয়নের তেলু মিয়ার ছেলে নাজমুল হুদা রুবেল (৪৫) ও একই উপজেলার শালুয়াদীর আতাউর রহমানের ছেলে মো. রুবেল মিয়া (৪০) সহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞতানামা আরো ১৫/২০ জন কে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু রাজনৈতিক কাজে পাকুন্দিয়া উপজেলায় সালুয়াদি গ্রামে যান, সেখানে যাওয়ার পর শুনতে পান কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া ইউনিয়নে কটিয়াদী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সদ্য প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আইন উদ্দিন ও আওয়ামী লীগ নেতা ভাষানীর আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

সালুয়াদি থেকে মসুয়ার দুরত্ব খুব বেশি না হওয়ায়, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন তিনি। এসময় জাকির হোসেন সুমন, নাজমুল হুদা রুবেল ও রুবেল হোসেনসহ অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে রফিকুল ইসলাম রেনুর উপর আক্রামন করে। আক্রামনে ব্যর্থ হয়ে তাকে বহনকারী সরকারি গাড়ির উপর আক্রমন করে গাড়ি ভাঙচুর করে। এসময় গাড়িতে বসে থাকা ড্রাইভার আলাউদ্দিনকে মারপিট করে এবং রেনুর সহযোগী সোহাগকে মারপিট করার উদ্দেশ্যে গেলে সোহাগ দৌড়াইয়া পালাইয়া যায়।

মামলার এজাহারে আরো বলা হয়, এইসব ঘটনার পর অভিযোগ নিয়ে রফিকুল ইসলাম রেনু কটিয়াদী থানায় গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন, আমি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হওয়ার পাশাপাশি পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। আমি আমার দলের সভা নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এবং পাকুন্দিয়া কটিয়াদীর জনগনের কাছে বিচার চাই। আশা করি ন্যায় বিচার পাবো।

Share.