আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার গান্ধারচর গ্রামের শতবছরের পুরনো একটি সরকারি কাঁচা রাস্তা দখল করে বসত বাড়ি নির্মাণ ও বিভিন্ন ধরনের গাছপালা রোপন করে রেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে এলাকাবাসির যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে অন্তত পাঁচশত পরিবারের মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের গান্ধারচর গ্রামের মোবারক হোসেন, হিরু মিয়া, বাচ্চু মিয়া ও বাদল মিয়ার বাড়ির মাঝখান দিয়ে সরকারি রাস্তা রয়েছে। রাস্তাটি প্রায় ১৫ ফুট প্রস্থ। ১২০ ফুট লম্বা। রাস্তাটি ব্যবহার করে চরফরাদী এলাকার প্রধান সড়ক ও নরসুন্দা নদীতে আসা-যাওয়া করতো এলাকাবাসি। এলাকার কৃষকেরা সরকারি রাস্তাটি ব্যবহার করে জমি থেকে সহজে ফসলাদি পরিবহন করতে পারতেন।
এ অবস্থায় গান্ধারচর গ্রামের হিরু মিয়া, বাচ্চু মিয়া ও বাদল মিয়া মিলে প্রায় ২০ বছর আগে পুরো রাস্তা জুড়ে বাড়ি নির্মাণসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ রোপন করে রেখেছেন। এতে রাস্তাটি দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে রাস্তাটি দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয়রা। অভিলম্বে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে রাস্তাটি উন্মুক্ত করতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
এ ব্যাপারে গ্রামবাসির পক্ষে মোবারক হোসেন নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এক সপ্তাহ আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগকারী মোবারক হোসেন বলেন, ওই গ্রামের হিরু মিয়া, বাচ্চু মিয়া ও বাদল মিয়া সম্পর্কে তারা তিন ভাই। সরকারি রাস্তাটি তারা অবৈধ ভাবে দখল করে সেখানে ঘর নির্মাণ ও গাছ রোপন করে রেখেছে। এছাড়াও রাস্তার পাশে খোলা টয়লেট নির্মাণ করেছে। টয়লেটের ময়লা পানি রাস্তার উপরে জমে থাকে। ময়লা পানির দুর্গন্ধে আশপাশের লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তারা এলাকার কারো কোন কথা শুনছে না।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বাদল মিয়ার ছেলে আলামিন বলেন, চলাচলের রাস্তা রেখেই আমরা ঘর ও টয়লেট নির্মাণ করে সেখানে গাছ লাগিয়েছি।
পাকুন্দিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তার অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাস্তাটি মেপে চিহ্নিত করার জন্য সার্ভেয়ারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সার্ভেয়ারের প্রতিবেদন পেলেই স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য দখলদারদের নোটিশ করা হবে।