স্টাফ রিপোর্টারঃ
এবার ৪ মাস পর কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। এবার রেকর্ড ১৯ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছে। দিনভর গণনা শেষে টাকার পরিমান দাঁড়ায় পাঁচ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা। শনিবার সকাল ৮টায় মসজিদের আটটি দান সিন্ধুক খোলা হয়। এবারও সিন্ধুক থেকে বৈদেশিক মুদ্রা, ডলার, রিয়েল, রিংকিং, দেহরাম, ইন্ডিয়ান রুপি, বিপুল পরিমাণ সোনা ও রুপা পাওয়া গিয়েছে।
প্রতি তিনমাস পর পর সিন্ধুক খোলা হলেও এবার রমজান মাস ও ঈদুল ফিতরের জন্য ৪ মাস পর সিন্ধুক খোলা হয়েছে। এর আগে গত জানুয়ারি মাসে পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে রেকর্ড ২০ বস্তা টাকায় দিনভর গণনা শেষে প্রাপ্ত দানের পরিমান দাঁড়ায় ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা। এ ছাড়াও পাওয়া গিয়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা। টাকা ছাড়াও মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।
জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেওয়া হয়। অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্তদের সহায়তাও করা হয়। এ ছাড়া এই মসজিদের জমানো টাকা দিয়ে মসজিদ ও মাদ্রাসাসহ এখানে সুন্দর একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে এক শ কোটির বেশি টাকার প্রয়োজন হবে।
গণনা কাজে মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন। গণনা কাজে জেলা প্রশাসনের সাতজন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে ছিলেন।