পেঁপে চাষে ভাগ্যবদল মোশারফ হোসেনের

0

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত শাহি জাতের পেঁপে চাষ করে আসছেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের কালিকা বাড়ি গ্রামের মোশারফ হোসেন। বানিজ্যিক ভাবে প্রথমে অল্প জমিতে চাষ করলেও পেঁপের চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি সঠিক মূল্য পাওয়ায় চাষও বেড়েছে কয়েকগুন বেশি জমিতে। মোশারফ হোসেন এখন পুরোপুরি পেঁপে চাষী। এতে করে নিজে আর্থিক ভাবে যেমন লাভবান হচ্ছেন তেমনি পেঁপে চাষের ওই জমিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে অনেকের। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এর ব্যাপকতা ছড়িয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। তার এই সাফল্য দেখে অনেকেই ঝুঁকছেন পেঁপে চাষে। পেঁপে চাষে ভাগ্য বদলেছে মোশারফ হোসেনের।

মোশারফ হোসেন বলেন, বর্তমানে সাড়ে ৬ একর জমিতে সাড়ে ৬ হাজার পেঁপে গাছ আছে। যাতে খরচ হয়েছে ২০ লাখ টাকা। বিষ মুক্ত এই পেঁপে স্থানীয় খাদ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি চাহিদা মেটাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষের। বর্তমানে তার এই বাগানে ২০জন মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। এই জমি থেকে সপ্তাহে প্রায় ১৮টন পেঁপে উৎপাদন করা হয়। বছরে যার লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৩০০ মেট্টিকটন। এই বছর প্রায় ৫০ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রির আশা উদ্যোক্তা মোশারফ হোসেনের।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ সাইফুল আলম বলেন, একসময় মানুষজন পেঁপে চাষ করে পরিবারে পুষ্টিকর ফল ও সবজির চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ফসল বাজারজাত করতেন। বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পেঁপে। সবজি হিসেবেও পেঁপের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এতে রয়েছে প্রচুর ক্যারোটিন ও ভিটামিন “এ” ও “সি”। উঁচু বা মাঝারি উঁচু উর্বর দো- আঁশ মাটি পেঁপে চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো। তবে শাহি পেঁপে সারাবছরই চাষ করা যায়। মোশারফ হোসেনকে পেঁপে চাষে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দেওয়ার পাশপাশি বিদেশে রপ্তানি করার ক্ষেত্রে সকল সহযোগিতা দেওয়া হবে। দেশের যুবকরা পেঁপে চাষ শুরু করলে নিজেদের বেকারত্ব যেমন দূর হবে তেমনি দেশ হবে খাদ্য ও অর্থে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

Share.