আউটসোর্সিং খাতের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন মার্চেন্ট হিসেবে খ্যাত পেপল সেবা বাংলাদেশে চালু করতে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংককে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে খুব শিগগিরই বাংলাদেশে বহুপ্রতীক্ষিত এই সেবা শুরু হতে যাচ্ছে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সোনালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক এবং প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, পেপল সেবা চালু সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতিপত্র আজ সোমবার বিকালে আমাদের এমডির কাছে এসেছে।
আগেই পেপলের সঙ্গে তাদের সেবা বাংলাদেশে চালু বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, একটি পেপল একাউন্ট খোলার জন্য কোনো ব্যাংক একাউন্টের ইলেকট্রনিক ডেবিট কার্ড অথবা ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। পেপলের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রহীতা পেপল কর্তৃপক্ষের কাছে চেকের জন্য আবেদন করতে পারে, অথবা নিজের পেপল একাউন্টের মাধ্যমে খরচ করতে পারে অথবা পেপল একাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা করতে পারে। ২০১১ সালে থেকে বাংলাদেশ পেপল এর সেবা শুরুর বিষয়ে আলোচনা চলছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত কয়েকটি অনুষ্ঠানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনে পেপল চালুর আশ্বাসও দিয়েছিলেন।
মোফাজ্জল বলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর আমরা সফল হয়েছি। গত বছর চুক্তির জন্য আমরা একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) করার প্রস্তাব পেপলের কাছে পাঠিয়েছিলাম। পেপল এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ার পর আমরা তোড়জোড় শুরু করি। এখন বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমতি দেওয়ার পর সব প্রক্রিয়াই সম্পন্ন হল। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে পেপলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এমডির একটি বৈঠক হয়েছে। এখন দ্রুতই এ সেবা আমরা চালু করতে পারবে বলে আশা করছি।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে পেপল কার্যক্রম শুরুর চেষ্টায় আমরা অনেকদূর এগিয়েছি। আশা করি, ফ্রিল্যান্সারসহ দেশবাসীকে অল্প কিছুদিনের মধ্যে একটি সুখবর দিতে পারব। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র সফরে পেপলের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছিল।