আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এমডিপি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী নাজিম উদ্দিনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। আহত নাজিম উদ্দিন বর্তমানে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার বিচার চেয়ে সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নির্যাতিত ওই অফিস সহকারী।
-
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ১১টার দিকে ওই বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী ৮ম শ্রেণির একটি প্রত্যয়নপত্র নিতে আসে। অফিস সহকারী নাজিম উদ্দিন প্রত্যয়নপত্রটি লিখে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর আনতে যান। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয় নাজিম উদ্দিনের। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক ছাইফুল ইসলাম উত্তেজিত হয়ে তাকে কিল, ঘুষি ও থাপ্পর মারে। এক পর্যায়ে তাকে অফিস কক্ষের দেওয়ালে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এতে তার মাথা, বুক ও দুই হাতের কনুইসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতসহ নীলাফোলা জখম হয়। পরে অন্য শিক্ষকরা ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
অফিস সহকারী নাজিম উদ্দিন বলেন, শারজিনা আক্তার নামের একজন পুরাতন ছাত্রী ৮ম শ্রেণির একটি প্রত্যয়নপত্র নিতে আমার কাছে আসে। আমি তাকে চিনি। সে আমাদের বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা শেষ করে আর পড়ে নাই। আমি তার প্রত্যয়নপত্রটি লিখে প্রধান শিক্ষক স্যারের স্বাক্ষর আনতে ওনার রুমে যাই। তিনি এতে স্বাক্ষর দিতে রাজি হননি। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক বিকর্ত হয়। এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাকে কিল, ঘুষি ও থাপ্পর মেরে অফিস কক্ষের দেওয়ালে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এতে আমি গুরুতর আহত হই।
-
প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম মারধরের কথা অস্বীকার করে মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, আপনি আগামিকাল বিদ্যালয়ে এসে তদন্ত করলেই কে কাকে মেরেছে জানতে পারবেন।
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীন চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।