বাংলাদেশের মাটির দিকে তাকালে চোখ উপড়ে ফেলবো

0

স্টাফ রিপোর্টারঃ

কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী বলেছেন, ভারত আমাদের পাশ্ববর্তী একটি রাষ্ট্র। তারা নিজেদেরকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলে দাবি করে থাকেন। কিন্তু বাংলাদেশের ছাত্র জনতা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি ফ্যাসিবাদ সরকারকে বিতাড়িত করেছে। তথাকথিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটির দিকে তাকালে সেই চোখ আমরা জাতীয়তাবাদী শক্তি উপড়ে তুলে ফেলবো। আমরা চায়, ভারতের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। আমরা বাংলাদেশ ভারতকে সুস্বাদু ইলিশ মাছ দিয়েছি, আর প্রতিদানে বঞ্চনা স্বরূপ আমাদের যুবসমাজ ধ্বংসের জন্য ইয়াবা-ফেনসিডিল দিয়েছে, বাঁধ ছেড়ে দিয়ে আমাদের দেশকে তলিয়ে দিয়েছে। অতএব তোমরা বাংলাদেশের ভালো বন্ধু হতে পারোনা।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতের আগরতলা অভিমুখী লংমার্চের যাত্রা পথে কিশোরগঞ্জের  ভৈরবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নিউটাউন মোড় এলাকায় বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠনের পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি, ভারত একটি সন্ত্রাসের আশ্রয়স্থলের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে।  আমরা বলতে চায় ভারত সরকারের কাছে, ভারত সরকার আপনার কৃতদাস শেখ হাসিনা তো আপনার কাছেই রয়েছে।  মনে রাখবেন, এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়, এই বাংলাদেশ শহীদ জিয়ার বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশ খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশ তারেক রহমানের বাংলাদেশ।

এসময় কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় ছাতদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরসহ যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আড়ে সকাল ৯টায় রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়। লংমার্চ শুরুর আগে নয়াপল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গাড়িবহর ঢাকা থেকে বের হওয়ার পর সড়কের দুই পাশে নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। তারা হাত নেড়ে, ফুল ছিটিয়ে গাড়িবহরকে স্বাগত জানান।

এদিকে বেলা দেড়টায় ভৈরব থেকে আগরতলা মুখী লংমার্চ যাত্রা শুরু করেন। এসময় কেন্দ্রীয় বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো: শরীফুল আলম লংমার্চের অংশ নেয়া গাড়ি বহরে থাকা নেতাকর্মীদের স্বাগত জানান। উপস্থিত ছিলেন, ভৈরব উপজেলা বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী মোঃ শাহীন সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান সহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ভারতের মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলমান তথ্যসন্ত্রাস এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই লংমার্চ কর্মসূচি করছে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, জাতীয়তাবাদী যুবদল ও জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। ছাত্র, যুবক এবং স্বেচ্ছাসেবী জনতা এই লংমার্চে অংশগ্রহণ করেন।

Share.