মিজানুর রহমানঃ
মাদকের কবলে তরুন সমাজ। উঠতি বয়সী তরুণরাই বেশি আসক্ত হচ্ছে মাদকে। কেউবা সঙ্গ দোষে আবার কেউবা তথাকথিত এলাকার বড় ভাইদের পাল্লায় পরে মাদক সেবনে আসক্ত হচ্ছে। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় মাদকের ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক। চলছে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে অভিযান। বর্তমান অফিসার ইনচার্জ মু. শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মাদক কারবারীদের ধরতে বেশ কিছু সাহসী অভিযানে প্রশংসিত হচ্ছে পুলিশ প্রশাসন।
গত ২২ মে রাতে উপজেলার পৈলনপুর ঈদগাহ মাঠের সামনে পাকা রাস্তার উপর মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয় বিক্রয়ের সময় মো. চান্দু মিয়া (২৬) ও মোঃ পাপন ওরফে পাপ্পু (২৪) নামে দুই যুবককে ২৫৫ পিস ইয়াবা সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ পর্যন্ত আসামী চান্দু মিয়ার বিরুদ্ধে চারটি ও অপর আসামী পাপন ওরফে পাপ্পুর নামে তিনটি মামলা রয়েছে বাজিতপুর থানায়। এরা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও একসাথে মাদকের ব্যবসা করেন বলে জানা যায়। আসামী পাপ্পুর পিতা নূর ইসলামের নামেও থানায় দুটি মামলা রয়েছে। এছাড়া তার আপন বড় ভাই রাকিব মিয়ার নামেও মাদকের মামলা সহ দুটো মামলা রয়েছে থানায়।
এছাড়া গত ২১ মে রাতে উপজেলার হালিমপুর নগর ভান্ডা মোড়ে মামুন হোসেনের মুদি দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয় বিক্রয়ের সময় মোঃ সুবেল মিয়া (২৮) ও মো. টুটুল (২৭) নামে দুজন মাদক ব্যবসায়ীকে ১৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ গ্রেফতার করে পুলিশ। আসামী টুটুল মিয়ার নামে সর্বমোট দুটি মামলা রয়েছে থানায়।
মাদকব্যবসায়ীদের উঠতি বয়সী তরুণদের টার্গেট ও তাদের দিয়ে ব্যবসা ও আসক্তকরণের ঘটনায় অভিভাবকরা সবসময় চিন্তিত থাকেন। তবে এদের বিরুদ্ধে শত শত অভিযোগ গোপনে করলেও প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে চায় না। এরা একদিকে যেমন মাদক ব্যবসায়ী অপরদিকে উঠতি বয়সী কিশোরদের নিয়ে গ্যাং তৈরি করে জনমনে সবসময় ত্রাসের সৃষ্টি ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান মাদকব্যবসায়ীদের ভয়ে ছেলে মেয়ে নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাতে হয়। কারন এরা স্কুলগামী কিশোরদের টার্গেট করে তাদের ব্যবসাগুলো পরিচালনা করে। পুলিশের জিরো টলারেন্স অভিযানে স্থানীয়দের চোখে মুখে স্বস্তির আভাস দেখা গেছে।