আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
বাবার রেখে যাওয়া জমির দখল বুঝে পেতে জনেজনে ঘুরছেন দুলাল মিয়া ও তার সন্তানরা। দীর্ঘ এক বছর ধরে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও মাতব্বরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও অসহায় দুলাল মিয়া পাচ্ছেন না কোনো প্রতিকার। এই জমি জোরপূর্বক দখলে রাখতে পাশের বাড়ির সজিব, রফিক, মনির, রমজান ও আক্কাছ নানা কৌশলে তাদের হয়রানি করছেন বলেও অভিযোগ করেন দুলাল মিয়া।
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার সাত নম্বর ওয়ার্ডের দিয়াপাড়া গ্রামে দুলাল মিয়ার বাড়ি। তিনি ওই গ্রামের মৃত হোসেন উদ্দিনের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার ভৈরাদী মৌজার ২৭নম্বর খতিয়ানের ৮৯৯দাগে দুই শতাংশ ও ৯৩৭নম্বর দাগে সাড়ে ৪শতাংশ জায়গা রয়েছে দুলাল মিয়ার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া এই সাড়ে ছয় শতাংশ জমি বহু বছর ধরে জোরপূর্বক ভোগ-দখল করে আসছেন পাশের বাড়ির ফোনর বাব-এর ছেলে মনির উদ্দিন, রমজান আলী ও আক্কাছ আলী এবং দুলাল মিয়ার ছেলে সজিব ও ইদ্রিস আলীর ছেলে রফিক মিয়া। এছাড়াও ৮৯৯দাগের দুই শতাংশ জায়গায় একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন রফিক মিয়া। ভুক্তভোগী দুলাল মিয়া ও তার সন্তানরা জমি ফেরত চাইলে তাদের ওপর হামলা করতে আসে দখলকারিরা।
ভুক্তভোগী দুলাল মিয়া বলেন, বহু বছর ধরে আমার বাবার রেখে যাওয়া সাড়ে ছয় শতাংশ জমি জবর-দখল করে ভোগ করছে দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি সমাধানের জন্য গত এক বছর ধরে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনসহ অনেক জায়গাতেই অভিযোগ করেছি। এনিয়ে এলাকায় ৬-৭টি বৈঠকও হয়েছে। কোনো বৈঠকই তাদের দখলে নেওয়া জমির বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। দখলকারিরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কারও কোনো কথা রাখছেনা।
দিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা খুরশিদ উদ্দিন বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য কয়েকবার গ্রামে সালিশ-দরবার হয়েছে। দুলাল মিয়াকে জমি ফিরিয়ে দিতে তাদের বলাও হয়েছে। কিন্তু দরবারের সিদ্ধান্ত মানছেন না প্রতিপক্ষের লোকেরা।
এবিষয়ে জানতে সজিব ও রফিকের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পাকুন্দিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুর রহমান বলেন, এবিষয়ে দুলাল মিয়ার ছেলে বিল্লাল মিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল। বিষয়টি সমাধানের জন্য এলাকার মাতব্বরদের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এলাকাবাসী কয়েকবার চেষ্টা করেও কোনো সমাধান দিতে পারেনি। তাই বিল্লাল মিয়াকে বলে দিয়েছি আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে।