স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে পাঁচ বছরের লাবিব ওরফে রাব্বিকে মুখের ভেতর মাটি ভরে ঘাড় মটকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ফুপাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ মে) রাত ১০টার দিকে উপজেলার রসুলপুর বাজার থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে নিকলী থানা পুলিশ। বুধবার (৩১ মে) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ। পরে বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তার দুইজন হলেন, নিহত শিশু রাব্বির ফুফা মো. দিদারুল ইসলাম পায়েল (৩৩) ও তাঁর বন্ধু তনয় খান (১৯)। দিদারুল উপজেলার ছাতিরচর দক্ষিণপাড়া গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে ও তনয় একই উপজেলার কূর্শা মাইজহাটি গ্রামের জমশেদ খাঁনের ছেলে।
পুলিশ সুপার জানায়, নিকলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কূর্শা মাইজপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের পাঁচ বছর বয়সী ছেলে লাবিব ওরফে রাব্বি। সে কূর্শা বিদ্যাময় মডেল একাডেমি কিন্ডারগার্টেনে প্লে শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। শুক্রবার (২০ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিশুটি তার মাকে বলে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে শিশুটির ফুফা ও তাঁর বন্ধু তনয় খাঁন তাকে ধরে নিয়ে মুখের ভেতর মাটি ভরে ঘাড় মটকে হত্যা করে। ঘটনার পরদিন শনিবার দুপুর ২টার দিকে মাইজপাড়া গ্রামের তুহিনের একচালা ছাপড়া ঘরের চৌকির নিচ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ আরও জানান, কিছুদিন আগে শিশুটির ফুফির সঙ্গে ডিভোর্স হয় ফুফা দিদারুলের। এ কারণে আমিরের সঙ্গে দিদারুলের ঝগড়া ও মারামারি হয়। সেই ক্ষোভ থেকে আমির হোসেনের পরিবারকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য বন্ধু তনয়কে নিয়ে শিশুটিকে হত্যা করে দিদার।
পুলিশ সুপার আরও জানান, শনিবার (২১ মে) রাতে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে নিকলী থানায় অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ আল আমিন হোসাইন, হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার, নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান প্রমুখ।
