বিএনপিকে রাজনৈতিক মাঠ থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে সরকার

0

আব্দুল্লাহ আল সুমন, ঠাকুগাঁওঃ
দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে দেশের কয়েকটি স্থানে মন্দিরে হামলার ঘটনার সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়িত নন, এটা আওয়ামী লীগের লোকেরাই করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় এমনি মন্তব্য করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, এটা প্রমানিত যে সাম্প্রদায়িক হামলার সঙ্গে এই সরকার জড়িত। তার (আ.লীগ) দলের লোকেরাই জড়িত। এরপরেও সরকার জোড় করে বিএনপির উপর দোষ চাপিয়ে দিতে চায়। বিএনপির উপর দোষ চাপানো সরকারের অনেক আগের অভ্যাস। এটা নতুন কিছু নয়। তারা এই অপপ্রচার করেই বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে দেবার একটি চেষ্টা করছে।

ক্ষমতার রাজনীতিতে বিএনপিকে মানুষ আওয়ামী লীগের বিকল্প ভাবতে পাড়ছেনা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরর এমনি বক্তব্যে জবাবে মহাসচিব বলেন, ওবায়দুল কাদেরের উচিত নিজেকে আয়নার সামনে নিজের ও দলের চেহেরা দেখার। সেই সাথে জনগনের চোখের যে ভাষা আছে সেটি তার পড়া উচিত। যার কারন তারা সম্পূর্ণভাবে জনগনের সাথে প্রতারণা করে,আগের রাতে নির্বাচন করে,রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে জোড় করে ক্ষমতায় বসে আছে।

তিনি আরো বলেন,বিএনপি আগে থেকেই জনগনের সামনে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র,একটি স্বপ্নের রাষ্ট্র,ভবিষ্যৎরে স্বপ্ন দেখার রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য করেছে। আগামীতেও করে যাবে।

বিএনপির এই মহাসচিব আরো বলেন,বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাটা এখন এই সরকারের হাতে পরে বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে নির্বাচন কমিশন কোনকিছু করতে পারে না। সে কারনেই আমরা বিগত নির্বাচনগুলো বর্জন করেছি, নির্বাচন কমিশনকে সার্চ কমিটিতে আমাদের মতামত দিয়েছি কিন্তু এই সরকার কোন কিছু গ্রহন করে নাই। সে কারনেই আমাদের পুরাতন দাবি নির্বাচনকালীন সময়ে একটি তত্বাবধায়ক নিরপেক্ষ সরকার থাকতে হবে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আমরা প্রথম থেকেই দলগতভাবে করার বিপক্ষে ছিলাম। স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় মার্কা দিয়ে নির্বাচন করতে গেলে গ্রামীন যে রাজনীতি এটা পুরোপুরি ভাবে বিভক্ত হয়ে যায়। আমাদের দলের যারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করছে সেখানে আমাদের কোন বাধা থাকবে না।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আল মামুন আলম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আমিন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ বিএনপির অন্য সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।

Share.