স্টাফ রিপোর্টারঃ
বিচার বিভাগ ২০০৭ সনে বিভক্ত হয়েছে। এখন আমাদের দায়িত্ব এই বিচারালয়ে স্বাধীনতা, হস্তক্ষেপবিহীন বিচার এবং দুর্নীতিমুক্ত বিচার আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে। শুধু হস্তক্ষেপ মুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত ও স্বাধীনতা হইলে হবে না আমাদেরকে এই দায়িত্ব বহন করতে হবে যে, আমরা বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করব। বিনা কারণে ন্যায়বিচার যদি ব্যাহত না হয় তাহলে আমরা কোন অবস্থাতেই বিচার বিলম্বিত করবো না। বিচার দ্রুত মানুষকে দিব। এই দেওয়াটাই হচ্ছে ন্যায়বিচার। যত বিলম্ব হবে মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবে।
রোববার (২৮ মে) বিকেলে কিশোরগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে আগত বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিতব্য বিশ্রামাগার “ন্যায়কুঞ্জ” এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরউজ্জামান।
বিচারপতি মো. নূরউজ্জামান আরও বলেন, আমাদের আইনজীবী সমিতির সেক্রেটারি সাব একটা কথা বলেছেন যেদিন বিচার বিভাগ স্বাধীন হয়েছে উনি সেদিন এই স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ ছিলেন। আমার মনে হয় ১০০ পার্সেন্ট আইনজীবী এবং বিচারক বিচার বিভাগের স্বাধীনতার স্বপক্ষে ছিলেন। একজনও বিপক্ষে ছিলেন না। তবে আজকে আমাদেরকে সেই দায়িত্বটা বহন করতে হবে। শুধু স্বাধীনতা হলেই হবে না স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছে, স্বাধীনতা এনেছে জীবনের পনেরো বছরও বেশি কারাজীবন কাটিয়েছে। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করা।
আরও বলেন, মন্ত্রীসভা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ন্যায়কুঞ্জ এর জন্য তারা খুব প্রশংসা করেছে। এটা আমাদের আরও আগের এই করা উচিত ছিল আমাদের কাছে সাজেশন আসেন এজন্য আমরা করতে পারি নাই। এই ন্যায়কুঞ্জ অর্থই বহন করে আইন প্রতিষ্ঠার জন্য এই বাসস্থান এটাই হচ্ছে ন্যায়কুঞ্জ। এখানে সাতক্ষীরা বসবে। এখন বহু বিচার প্রার্থী নারী তাদের বসার জায়গা। শিশুসহ আসে অনেক কষ্ট করে। আমরা চাই তারা যেন এখানে স্বাচ্ছন্দে বসতে পারে। বহিরাগত কেউ যেন এখানে প্রবেশ না করে এটা নিশ্চিত করতে হবে। এটার দায়িত্ব শুধু জেলা জজ সাহেবের না ওর দায়িত্ব থাকবে জজ শীপ ও বার একত্রে আপনারা এই কাজটুকু করবেন।
কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ সায়েদুর রহমান খান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ্, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোঃ রেজাউল করিম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারক মোঃ আল-মামুন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার শেখ মোহাঃ আমিনুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর স্পেশাল পি.পি এম এ আফজাল, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর স্পেশাল পি.পি আতাউর রহমান, কিশোরগঞ্জ জর্জ কোর্টের জি.পি বিজয় শংকর রায়, জর্জ কোর্টের পিপি আবু নাসের ফারুক সঞ্জুসহ কিশোরগঞ্জ জজশীপের সকল বিচারক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সকল আইনজীবীগণ উপস্থিত ছিলেন।