বিদেশের মাটিতে দাপট দেখালেন মাশরাফি বাহিনীরা

0

শ্রীলংকার বিরুদ্ধে এক অবিস্মরণীয় জয় তুলে নিয়ে টাইগাররা সূচনা করলো এক নতুন ইতিহাসের।আজ শনিবার ডাম্বুলায় রনগিরি স্টেডিয়ামে নতুন অধ্যায় সূচনা করে লাল-সবুজ বাহিনী। ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম খেলায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটে-বলে উড়িয়ে দিয়ে যেন বাঘের হুংকারে ধরাশায়ী করলো লঙ্কান সিংহকে।পরের মাঠে শততম টেস্ট জয়ের পর ওয়নডে ম্যাচে ৯০ রানের এক বড় জয় পাওয়ায় ১-০ তে এগিয়ে গেলো তামিম, সাকিব, মাশরাফিরা।

টস হেরে ব্যাটিং এ নামে বাংলার দামাল ছেলেরা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের এটি পঞ্চম জয় এবং তাদের মাটিতে দ্বিতীয়।ব্যাট করতে নেমে তামিমের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে সংগ্রহ করে ৩২৪ রান। জবাবে শ্রীলঙ্কা ৪৫.১ ওভারে ২৩৪ রানেই অলআউট হয়ে যায়। সেঞ্চুরির সুবাদে অনুমিতভাবে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন তামিম ইকবাল।৩২৫ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নামলেও এর আগে ডাম্বুলার রণগিরি ভেন্যুতে ৩০০ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই কোন দলের।

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বাঙ্গালীরা টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে তামিমের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে সংগ্রহ করে ৩২৪ রান। জবাবে শ্রীলঙ্কা ৪৫.১ ওভারে ২৩৪ রানেই অলআউট হয়ে যায়। সেঞ্চুরির সুবাদে অনুমিতভাবে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন তামিম ইকবাল।৩২৫ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নামলেও এর আগে ডাম্বুলার রণগিরি ভেন্যুতে ৩০০ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই কোন দলের।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিততে হলে নতুন রেকর্ড গড়তে হতো স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে। সেই অসাধ্য সাধনে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ভীষণ চাপের মধ্যে ছিল দলটি। এর উপর প্রথম ওভারেই লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানেন বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। তৃতীয় বলেই লঙ্কান ওপেনার দানুষ্কা গুণাথিলাকাকে এলবির ফাঁদে ফেলেন তিনি। লঙ্কান দলীয় স্কোর তখন শূন্য। প্রথম ওভার মেডেনসহ এক উইকেট নেন মাশরাফি।

ওয়ানডেতে অভিষেক হওয়া বা হাতি স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ।শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেই তাণ্ডব শুরু করেন এই হাতি স্পিনার।৫.৬ ওভারে মিরাজের বলে শুভগতর হাতে ক্যাচ দেন ওয়ান ডাউনে নামা কুশল মেন্ডিজ। ১৭ বলে চার রান করে সাজঘরে ফেরেন মেন্ডিজ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক উপল থারাঙ্গা ও দিনেশ চান্দিমাল। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। হামলে পড়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ১০.৬ ওভারে তাসকিনের বলে মাশরাফির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন থারাঙ্গা। তার আগে করে যান ২৯ বলে তিন চারে ১৯ রান।

যখন মাঠে তাসকিন উইকেট তার নাগালেই আছে। চান্দিমাল ও গুণারতে জুটি থেকে আসে ৫৬ রান।শেষ অবধি এই জুটি বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ২৩.২ ওভারে সাকিবের বলে মোসাদ্দেকের হাতে ক্যাচ দেন গুণারতেœ। ৪০ বলে দুই চারে ২৪ রান করে ফেরেন তিনি। গলার কাঁটা হিসাবে ব্যাট করছিল দিনেশ চান্দিমাল। যিনি গোটা সিরিজেই কম বেশি ভুগিয়েছেন বাংলাদেশের বোলারদের।

এই ম্যাচেও ফিফটি করে আগাচ্ছিলেন সাবলিল গতিতে। শেষ পর্যন্ত তাকে থামান অভিষিক্ত মেহেদী হাসান মিরাজ।  ২৮.৫ ওভারে মিরাজের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সৌম্যর হাতে ধরা পড়েন চান্দিমাল। সাজঘরে ফেরার আগে চান্দিমাল করে যান ৭০ বলে ৬ চারে ৫৯ রান।মুস্তাফিজ উইকেট পাচ্ছেন না। এমন আফসোস ছিল মাঠ ও মাঠের বাইরে। ৩৩.৩ ওভারে মিলিন্দা শ্রীবর্ধনেকে আউট করে ভক্তদের আশ্বস্ত করেন কাটার মাস্টার। মুস্তাফিজের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে মিডউইকেটে শুভাগতর তালুবন্দী হন শ্রীবর্ধনে। ২৫ বলে এক চার ও এক ছয়ে ২২ রান করেন শ্রীবর্ধনে।  এরপর আবারো মাশরাফির আঘাত। ৩৭.১ ওভারে মাশরাফির বলে রিয়াদের হাতে ক্যাচ দেন পাথিরানা। ৩২ বলে তিন চারে ৩১ রান করে ফেরেন পাথিরানা। অষ্টম উইকেট জুটিতে লাকমলের সঙ্গে রানের গতি বাড়াচ্ছিলেন থিসারা পেরেরা।এই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজ। নয় বলে এক চারে ৮ রান করা সুরঙ্গ লাকমল মুস্তাফিজের বলে ক্যাচ দেন সাব্বিরের হাতে। শ্রীলঙ্কার অষ্টম উইকেটের পতন। দলীয় রান তখন ২০৮। ৪৩.৫ ওভারে নবম উইকেটের পতন।

সান্দাকান রান আউট মুস্তাফিজের নিখুত থ্রোয়ে। ৭ বলে তিন রান করেন তিনি। জয়ের খুব কাছে তখন বাংলাদেশ। শেষ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে দারুণ জয়োৎসবে মাতান মুস্তাফিজুর রহমান। ৫৫ রানে আউট হন পেরেরা। টাইগার শিবিরে আসে মধুর জয়। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে মুস্তাফিজ তিনটি, মাশরাফি, মিরাজ দুটি, সাকিব, তাসকিন একটি করে উইকেট লাভ করেন।
তারও আগে ব্যাট করতে নেমে রেকর্ড গড়া ইনিংস উপহার দেয় বাংলাদেশ। ৫ উইকেটে টাইগার শিবির করে ৩২৪ রান। যেখানে ১২৭ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন হার্ড হিটার তামিম ইকবাল। ফিফটি করেন সাব্বির ও সাকিব। ৩২৪ রান শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস বাংলাদেশের। আগেরটি ছিল ২৬৫ রান, মোহালিতে, ২০০৬ সালে। ডাম্বুলার রণগিরি ভেন্যুতেও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে কোন দলের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস এটি।

বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। প্রথম দুটি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, ৩২৯, ৩২৬। ৩২৪ রানের ইনিংস শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সব দল মিলিয়ে বাংলাদেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ। মাসরাফি বলেন একটা ভালদল হতে হয়ে এভাবেই খেলতে হয়। আর আমরা আমাদের সর্বচ্ছটা দিয়ে খেলেছি। তাই আজ আমরা বড় রানের টার্গট দিতেপেরেছি। পরের দুই মেচ আরও ভাল খেলার আশা করছি।

 

Share.

About Author