বিনে পয়সার বাজার

0

আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
বাজার মানেই প্রতিদিন নির্দিষ্ট স্থানে সকাল-সন্ধ্যা কেনাবেচার স্থান। সেখান থেকে নির্ধারিত মূল্যে বিক্রেতার কাছ থেকে ক্রেতার কিনে নিতে হয়। কিন্তু কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার সৈয়দগাঁও এলাকার উজ্জীবন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এমন এক বাজার বসেছিল, যেখানে বিনামূল্যে পাওয়া গেছে পণ্য বা জিনিস। আজ শুক্রবার বিকেলে রমজান উপলক্ষে চালু হওয়া এই ফ্রি বাজারে দরিদ্র-অসহায়দের দেওয়া হয়েছে চাল-ডালসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী।

ফ্রি বাজারের উদ্যোক্তা স্থানীয় সমাজসেবক হুমায়ুন কবীর শাহীন ও উসমান আলী জানান, বাজারটি শুধু একদিনের জন্যই বসানো হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিনামূল্যের বাজারে এদিন ৬৫জন পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো- চাল, আলু, পিঁয়াজ, কাঁচামরিচ, বেগুন, ডাটা, পুঁইশাক, মিষ্টি লাউ, লেবু, সেমাই, চিনি, গুড়ো দুধ ও মাছ।

সরেজমিনে বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ওই স্কুলের মাঠে প্যান্ডেলের নিচে টেবিলের ওপর সাজানো চাল, ডাল, মাছসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী। ক্রেতারা মুখে মাস্ক পড়ে হাতে ব্যাগ নিয়ে বাজারে ঢুকছেন। সাজানো পণ্য সামগ্রীর পসরা থেকে এক-এক করে পন্য সামগ্রী ক্রেতার ব্যাগে তুলে দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। ব্যাগ ভর্তি এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী পেয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরছেন ক্রেতারা।

বিনে পয়সার বাজার থেকে পণ্য নিয়ে যাচ্ছিলেন সৈয়দগাঁও গ্রামের মুর্শিদ উদ্দিন (৫০)। তিনি আবেগ-আপ্লুত হয়ে বলেন, ‘সবসময় টাকা দিয়ে বাজার থেকে পণ্যসামগ্রী কিনেছি। আজ পয়সা ছাড়া পন্য সামগ্রী পেয়ে খুবই ভাল লাগছে।’

মুদি বাড়ির আমেনা ও ছেত্রাখালী গ্রামের শামছুন্নাহারসহ বেশ কয়েকজন নারী ক্রেতা বলেন, ‘এই রমজান মাসে কেউ আমাদের সহায়তা করেনি। আজ পয়সা ছাড়া এখান থেকে বাজার-সদাই পেয়ে আমরা খুবই খুশি। যারা এর আয়োজন করেছেন তাদেরকে আল্লাহ দীর্ঘায়ু দান করুক।’

বাজারের উদ্যোক্তা হুমায়ুন কবীর শাহীন ও উসমান আলী বলেন, ‘করোনার এই দুঃসময়ে অসহায়-দুস্থদের পাশে দাঁড়াতে এ বাজারের আয়োজন করা হয়েছে। যাতে তারা বিনে পয়সায় নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী দিয়ে রমজান মাসে কিছুটা স্বস্থি পায়। এই ক্রান্তিকালে সমাজের প্রত্যেক ধন্যাঢ্য ব্যক্তির দুস্থ-অসহায়দের সাহায্যে এগিয়ে আসা উচিত।

Share.