ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হচ্ছে আরো ছয় উপজেলা

0

স্টাফ রিপোর্টারঃ
কিশোরগঞ্জে আরো ছয়টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করা হচ্ছে। এই ছয়টি উপজেলা হলো হোসেনপুর, করিমগঞ্জ, বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, নিকলী ও মিঠামইন। এর আগে কিশোরগঞ্জ সদর, ভৈরব, অষ্টগ্রাম, কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া এই পাঁচ উপজেলার পর আরো ছয়টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে।

সোমবার (০৭ আগষ্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। বুধবার (০৯ আগষ্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের এ ধাপে কিশোরগঞ্জ জেলার ২৭২ টি পরিবারকে পুনর্বাসন হবে। ২৭২ টি পরিবারের মধ্যে করিমগঞ্জ উপজেলায় ১২ টি, হোসেনপুর উপজেলায় ২২ টি, মিঠামইন উপজেলায় ১২ টি, নিকলী উপজেলায় ২০ টি, বাজিতপুর উপজেলারয় ৩২ টি, কুলিয়ারচর উপজেলায় ৩৬ টি, তাড়াইল উপজেলায় ৪৬ টি ও ইটনা উপজেলায় ৯২ টি। এরমধ্যে ইটনা ও তাড়াইল উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত হিসেবে ঘোষণার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ জমিসহ গৃহের কবুলিয়ত দলিল, নামজারি, গৃহ প্রদানের সনদ, ডিসিআর কপি ও ঘরের চাবি প্রদান করা হবে।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট বরাদ্দকৃত গৃহের সংখ্যা ২৭৫৮ টি। ইতোমধ্যে ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ পর্যায়ের ১ম ধাপে ২২১১ টি গৃহ প্রদান করা হয়েছে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীন ৪র্থ পর্যায়ের দেশব্যাপী মোট বরাদ্দকৃত গৃহের মধ্যে চলতি বছর ২২ মার্চ ১ম ধাপে ৩১ হাজার ১৫৫ টি গৃহ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, এ প্রকল্পের আওতায় ব্যারাক হাউজ নির্মাণের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার আড়ালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১৫০ টি ও মজলিশপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১২০ টিসহ মোট ২৭০ টি গৃহ প্রদান করা হয়। এছাড়া উপজেলা পরিষদের অর্থায়ণে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩ টি ও করিমগঞ্জ উপজেলায় ২ টি গৃহ নির্মাণ কর হয়েছে।

জেলা প্রশাসক জানান, প্রত্যেক উপজেলায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘরগুলো স্থানীয় গ্রোথ সেন্টারের কাছে নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে ভূমিহীন-গৃহহীন ব্যক্তিদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ সকল ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা সহজলভ্য হয়। প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে সরকারি খাস জায়গা কিংবা দখল হওয়া জায়গা দখলমুক্ত করে। কিশোরগঞ্জ জেলায় ২০২০ সাল হতে অদ্যাবধি আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় একক গৃহ নির্মাণের জন্য প্রায় ৬৬.৯৮ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৯৫ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া জেলায় ১১২.৮২ শতক জায়গা ক্রয় করা হয়েছে যার স্থানীয় বাজারমূল্য এক কোটি ৪৭ লাখ ৪২৯০ টাকা।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Share.