স্টাফ রিপোর্টারঃ
সংবাদ সম্মেলন করে ভূমিদস্যুদের অত্যাচার থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল নয়াপাড়া এলাকার
বাসিন্দারা। আজ শনিবার (৬ মে) বিকালে শহরের গাইটাল জনতা স্কুল সড়কের একটি প্রতিষ্ঠানে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, এলাকার আজাদ খন্দকার ও ইয়াসিন গংদের অত্যাচারে তারা অতিষ্ঠ। লিখিত বক্তব্যে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুফতি ইব্রাহীম কাসেমী বলেন, বিভিন্ন দাগে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত তাদের ৩৮ শতাংশ জমি রযেছে। যা বংশ পরম্পরায় প্রায় দেড়শ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এলাকার আজাদ খন্দকার ও ইয়াসিন গং তার পৈত্রিক জমি বেদখল করার চক্রান্ত করছে। গত বছরের ২১ নভেম্বর তার জায়গায় সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দখলের পাঁয়তারা করে চক্রটি। সে সময় স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, তার জমির বর্গা চাষীদেরকেও চাষাবাদ করতে বাধা দেয় চক্রটি।
মাওলানা ইব্রাহীম কাসেমীসহ বেশ কয়েকজনের নামে চক্রটি মিথ্যা মামলা করে হয়রানী করছে বলেও অভিযোগ করা হয়। ইতোমধ্যে দুটি মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আশরাফ উদ্দিন জানান, তার জমি বেদখল করার পাঁয়তারার অংশ হিসেবে জাল দলিল তৈরি করে আজাদ খন্দকার। অথচ দলিল সম্পাদনের ২৭ দিন আগেই রেজিস্ট্রী দেখানো হয়। দলিল সম্পাদনের ২৭ দিন আগে রেজিস্ট্রী হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি।
প্রতিবেশি রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া ও হুমায়ুন কবীর বলেন, যারাই আজাদ ও ইয়াসিন গংদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করে, তাদেরকেই মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করে। প্রতিবেশি মো. সেলিম বলেন, এই চক্রটির অত্যাচারে এলাকার সকলেই অতিষ্ঠ। অভিযুক্ত ইয়াসিনের মামা আব্দুস সালাম বলেন, অযথা কাউকে হয়রানী করা অন্যায়। আমরা এলাকাবাসী শান্তিতে থাকতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড (গাইটাল) আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল মিয়া, কিশোরগঞ্জ পৌর কর্মচারী সংসদের সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের জেলা সভাপতি আজাদ খন্দকার তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন,
আমি সার্ভেয়ারের কাজ করি। জমি সংক্রান্ত কেউ আমার কাছে পরামর্শ চাইলে আমি পরামর্শ দিয়ে থাকি।
অভিযুক্ত ইয়াসিন বলেন, জমি নিয়ে কারও সঙ্গে কোন বিরোধ নেই। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, আমার পিতা জয়নালকে ২০০৮ সালে জবাই করে হত্যা করেছিল মাওলানা ইব্রাহীমের চাচাতো ভাইয়েরা। মাওলানা ইব্রাহীম তার চাচাতো ভাইদের সঙ্গে মিলে হত্যা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাকে বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে এবং তার মাকে মারধর করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি।
হত্যা মামলা প্রসঙ্গে মাওলানা ইব্রাহীম কাসেমী বলেন, হত্যার বিচার হোক আমিও চাই। জমি দখলের পাঁয়তারার বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই এমন অভিযোগ আনা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।