মুজিব পাগল রিকসা চালক দ্বীন ইসলামের ৪০কেজি ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা

0

আছাদুজ্জামান খন্দকারঃ
দ্বীন ইসলাম। বয়স প্রায় ৪০ বছর। তিনি একজন রিকসা চালক। তাঁর মতো হাজারও রিকসা চালক রয়েছেন যারা হ্যান্ডেল হাতে প্যাটেল ঘুরিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যা উপার্জন করেন, তা দিয়ে সংসার চালায়। কিন্তু দ্বীন ইসলাম আর দশজন রিকসা চালকের মতো নন। তাঁর ধ্যান, ধারণা ও চিন্তা, ভাবনা একটু ভিন্ন রকম। তিনি স্বপ্ন দেখেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করার। এই চিন্তা ভাবনা নিয়েই রিকসা চালিয়ে টাকা উপার্জন করতে শুরু করেন। দীর্ঘদিনের চেষ্টায় ১০ হাজার টাকা উপার্জন করেন তিনি। ওই টাকায় একটি ফুলের তোড়া, কিছু গোলাপ, বেলি, গাঁদা, রজনীগন্ধা ও সূর্যমুখীসহ বিভিন্ন ধরনের ৪০কেজি ফুল কেনেন তিনি। ওই ফুল দিয়ে আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে গিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বড় আজলদী গ্রামে তাঁর বাড়ি।

সরেজমিনে আজ রোববার সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে গিয়ে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সিঁড়ি ও বেদিতে নানা রঙের ফুলের পাপড়ি বিছানো। বিছানো পাপড়ির মাঝখানে লাল সূর্য। ম্যুরালে বঙ্গবন্ধুর গলায় ফুলের মালা। নিচে ফুলের একটি বড় তোড়া। চারপাশের রেলিংয়ে গাঁদা ফুলের মালা দিয়ে সাজানো। ম্যুরালের দুই পাশে দুটি ব্যানার টানানো। তাতে তার ঠিকানাসহ দ্বীন ইসলামের পক্ষ থেকে ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি’ লেখা রয়েছে। ম্যুরালের সামনের সিঁড়িতে দ্বীন ইসলাম বসে আছেন।

সেখানেই কথা হয় দ্বীন ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, আমি কোন দল করিনা। আমি নির্দলীয় মানুষ। তবে বঙ্গবন্ধুকে আমি খুবই ভালোবাসি। অনেক দিন ধরে স্বপ্ন দেখছিলাম, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাবো। তাই রিকসা চালিয়ে ১০ হাজার টাকা রোজগার করেছি। এই ১০ হাজার টাকা দিয়ে ৪০কেজি ফুল কিনে আজকে (রোববার) বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। এতে বঙ্গবন্ধুর আত্মাও শান্তি পেয়েছে এবং আমার আত্মাও শান্তি পেয়েছে।

Share.